ভেজলিন থেকে প্যান্টের জিপার : বল টেম্পারিংয়ের কায়দা!
প্রথমে বলে মিন্টের প্রলেপ দেয়া এবং পরে মিষ্টি যুক্ত লালা দিয়ে বলের ঐজ্জ্বল্য বাড়িয়ে টেম্পারিংয়ের অপরাধে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিসকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্লেসিসের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শিবিরে রিতিমত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, যা গোটা ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির দৃষ্টিতে বল টেম্পারিংয়ের ৫টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা :
জন লেভের, ১৯৭৭ : এটি বল টেম্পারিংয়ের সর্বপ্রথম ব্যাপক প্রচারিত ঘটনা। চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বোলার লেভের পেট্রেলিয়াম জাতীয় জেলির তৈরি ভেজলিন বলে মাখিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে প্রতারণা করার অপরাধে অভিযুক্ত হন। তীব্র গরমের মধ্যে অনুষ্ঠিত টেস্টের তৃতীয় দিনে বাঁ হাতি এই ফাস্ট মিডিয়াম বোলার চোখের ওপর ঘাম পড়া বন্ধ করার জন্য মাখানো ভেজলিন দিয়ে বল টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ছলনার আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিসান সিং বেদি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে বলে ভেজলিন পাওয়া যায়। তবে ওই ঘটনায় লেভেরের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে স্বাগতিক মিডিয়া ও দর্শকরা তাকে একহাত নিয়ে ছাড়েন।
মাইকেল আথরটন, ১৯৯৪ : লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্টে টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, ইংল্যান্ড অধিনায়ক আথারটন পকেট থেকে ময়লা জাতীয় বস্তু বের করে বলে ঘষছেন। তবে এটি অপরাধ কিনা সে বিষয়ে নিজের মধ্যে স্বচ্ছ কোন ধারণা ছিল না বলে দাবি করেন ইংলিশ অধিনায়ক। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আতার্টনকে ২ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। তবে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করে ব্রিটিশ মিডিয়া।
শচিন টেন্ডুলকার, ২০০১ : পোর্ট এরজিাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং করার সময় বলকে সিমিং করানোর জন্য দুই আঙ্গুল দিয়ে বলে কাজ করতে দেখা যায় ভারতীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকারকে। এ ঘটনায় শচিনকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেন ম্যাচ রেফারি মাইক ডেনিস। এটি ছিল ভারতীয় দলের বিপক্ষে টানা ষষ্ঠ শাস্তি প্রদানের ঘটনা। যাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ভারতীয় মিডিয়াসহ কর্মকর্তারা। তারা সফর বাতিলেরও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে শচিনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় আইসিসি।
রাহুল দাব্রিড়, ২০০৪ : ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সময় ভারতের সহ অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে দেখা যায় মুখের ভেতর গলানো লজেন্স দিয়ে বলে ঘষতে। ওই ঘটনায় তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কেটে নেয়া হয়। তবে ঘটনাটি ভুলবশত ঘটেছে বলে দাবি করেন দলীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ও কোচ জন রাইট।
ফাফ ডু প্লেসিস, ২০১৩ : পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্টে নিজের প্যান্টের জিপারে বল ঘষে সেটিকে টেম্পারিং করার অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ফাফ ডু প্লেসিসের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কর্তন করা হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আরো বড় ধরনের শাস্তির আশঙ্কায় ওই ঘটনার কোন প্রতিবাদ করা থেকে বিরত ছিল বলে জানায়। জিপে ঘর্ষণের মাধ্যমে প্লেসিস বলকে খটখটে করার চেষ্টা করেছিল বলে জানানো হয়। বাসস।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন