ভোগান্তির চিরচেনা বৃষ্টির সাগর মিরপুর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মিরপুর এলাকা ঢাকা শহরের অন্যতম একটি বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র । কি নেই এখানে ! আধুনিক নাগরিক সমাজে বসবাসের প্রয়োজন উপযোগী সকল কিছুই এখানে আছে। ভালো লাগার সবকিছু থাকলেও মন্দ লাগার যে বিষয়টি মানুষের চিরচেনা তা হলো মাত্র ১০ মিনিটের এক বৃষ্টিতেই পানির নিচে তলিয়ে যায় এলাকটির প্রধান সড়কগুলো। গতকাল অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে ছোট্র একটা প্রয়োজনে মিরপুর-১ নম্বরে নেমে পড়ি। এরি মধ্যে হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি। খুব যে তুমুল বেগে বৃষ্টি আসলো তা নয়। অথচ ১৫ মিনেটের মধ্যেই যা ঘটার তাই ঘটল। আন্সার ক্যাম্প থেকে শুরু করে ১ন; গোল চক্কর হয়ে মিরপুর ১৩ পর্যন্ত ৩০ মি: ধরে স্বল্পমাত্রার বৃষ্টির কারনে প্রধান সড়কটি পানিতে একদম তলিয়ে গেল। এই পরিস্থিতি যে শুধু গতকাল দেখেছি তা নয়। তখন রাত ১০. ৩০ মি:। যানবাহনগুলো পানির কারনে এগুতে পারছেনা। রিক্সাগুলো অর্ধেকের বেশী পানির নীচে। মুহুর্তেই দু’চারটা সিএনজি দেখলাম স্টার্ট বন্ধ হয়ে জানজটের কারন হতে লাগলো।
জানা যায় যে, সুয়ারেজ ব্যবস্থার চরম দুর্বলতা অার অসময়ে সড়ক উন্নয়নমূলক কাজের কারনে সামান্য বৃষ্টি হলেই অত্র এলাকা সমূহে মানুষের জীবন ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশী কষ্ট ভোগ করে কর্মস্থল থেকে ফেরা ঘরমূখো মানুষগুলো। হাটু পরিমান পানি উপচিয়ে অনেক কষ্টে আমি এক নম্বর চক্করে গিয়ে একটি চলন্ত বাসে লাফিয়ে উঠলাম অন্যদের সাথে পাড়ি দিয়ে। কয়েকজন নারীকে দেখলাম রাস্তায় ময়লা পানিতে ভিজে অনেক কষ্ট করে এপার ওপার হচ্ছে। বাসটি আস্তে আস্তে চলতে লাগলেও ২ নম্বর থানার সামনে এসে চিরচেনা বিরক্তিকর আধা ঘন্টার সিগনাল জ্যাম আর বৃষ্টির সাগরে গাড়ীগুলো যেন নিষ্প্রান ভেসে আছে। কখন গন্তব্যে পোঁছবে হিসেব নেই তার। অবশেষে রাত ১.০০ টায় বাসায় ঢুকলাম মিরপুর ১৩ নম্বরের একটু পরে।
মিরপুর-১ নম্বরে আমি যেখানে দাড়িয়েছিলাম তার পাশেই এক দম্পতির কথোপকোথন শুনতে পেলাম। ফারজানা বেগম তাঁর স্বামীকে বলছে,“ এত পানি কখন নামবে, কেউ এসে সুয়ারেজের লাইনগুলোকে পরিষ্কার করে দিচ্ছেনা কেন?” উত্তরে ভদ্রলোক বললেন, “স্বয়ং দেবতা আসলেও এই পানি আগামী তিন ঘন্টার আগে সরবে না।” স্বামীকে তিনি আবার বললেন, “সিটি কর্পোরেশনের লোকজন কোথায় এখন, তারা দেখে না ?” ভদ্রলোক বললেন, “সিটি কর্পোরেশনের খেয়ে ধেয়ে আর কাম নাই” কিন্তু ফারজানা বেগম জোর দিয়ে বললেন- এই কাজতো সিটি কর্পোরেশনই করবে।
আমাদের শহরে উন্নয়নের অনেক ছোঁয়া লেগেছে একথা সত্য। কিন্তু অতিসত্তর সিটি কর্পোরেশনই পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের উন্নত ও পরিবেশ সম্মত ব্যবস্থা না নিলে এবং শুকনো মৌসুমে উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা না করলে জন জীবনের ভোগান্তি থেকেই যাবে। অার প্রিয় শহর, প্রিয় মিরপুর অন্যসব অর্থনৈতিক কাজ ও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি মিরপুরটি থেকে যাবে ভোগান্তির চিরচেনা বৃষ্টির সাগরে। ঐ সময় পানির তান্ডব নিয়ে একটি ভিডিও করেছিলাম। তা নীচের লিংকে দেখতে পাবেন।
https://www.facebook.com/amaderkonthosor/videos/1827655020585117/
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন