ভোট কেন্দ্র দখলের ছকে সক্রিয় ৩ হাজার ক্যাডার
রাত পোহালেই দেশের ২৩৪ পৌরসভায় শুরু হবে ভোট উৎসব। এ নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে সোমবার মধ্যরাতে। অপেক্ষা এখন শান্তিপূর্ণ ভোটের। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এ পৌর নির্বাচন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পৌরসভায় জড়ো করা হচ্ছে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে এমনকি পাশের জেলা থেকেও প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের নির্বাচনী এলাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এলাকায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা গেছে, ২৩৪ পৌরসভায় অন্তত তিন হাজার প্রশিক্ষিত ক্যাডার সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও অন্য দলের ক্যাডারও রয়েছে। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে বিশেষ অভিযান। বহিরাগতদের এলাকা ত্যাগের নির্দেশও দিয়েছে ইসি।
এদিকে ভোট ডাকাতি ও কেন্দ্র দখলের আশংকায় বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমনকি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতির আশংকার কথা বলেছেন।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্র দখলে রাখার ছক তৈরি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকেও সহযোগী হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতও পিছিয়ে নেই। কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বড় দুই দলের পক্ষ থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের। সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত যত বাধাই আসুক কেন্দ্র দখলে রাখার সব চেষ্টাই করবে তারা। এ অবস্থায় নির্বাচনের দিন বড় ধরনের সহিংসতার আশংকা করা হচ্ছে। কেন্দ্রে জঙ্গি হামলার আশংকাও রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় দুই হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখলে রাখার ছকে সক্রিয় রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী রয়েছে ৫শ’র অধিক। বাকিরা অন্য দলের সন্ত্রাসী। এদের আশ্রয়দাতা বা নিয়ন্ত্রণ করছে ৬শ’রও বেশি গডফাদার। এসব সন্ত্রাসী ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নাশকতা চালাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদন ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমাও দেয়া হয়েছে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ধরতে ইতিমধ্যে সোমবার থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। বহিরাগতদের এলাকা ত্যাগের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পৌরসভায় মাইকিং করেও সতর্কতা জারি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসি সূত্র আরও জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঠে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপি, এপিবিএনসহ সংশ্লিষ্টরা।
গোয়েন্দা সংস্থার ওই তথ্যে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কম উল্লেখ করলেও মাঠ পর্যায়ের চিত্র ভিন্ন। ব্যুরো প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অন্তত দেড় হাজার বহিরাগত প্রশিক্ষিত ক্যাডারকে কেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের ইউনিয়ন থেকে অথবা পাশের উপজেলা ও জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর বাইরে বিএনপি-জামায়াত ও অন্য দলের ক্যাডাররাও রয়েছে। অধিকাংশ পৌরসভাতেই ভোট ডাকাতির ছক তৈরি করে রেখেছে আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় এমন ছক তৈরি করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। বিএনপি ও জামায়াত অধ্যুষিত রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও রংপুরের অনেক এলাকায় কেন্দ্র দখলে রাখার ছক তৈরি করা হয়েছে।
এসব কেন্দ্র দখলে রাখতে বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্র দখলে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের।
জঙ্গি হামলারও আশংকা রয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলো। জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদনও দিয়েছে। আইনশৃংখলা কমিটির সভায়ও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শেরপুরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। শেরপুর পৌরসভায় বিএনপি-জামায়াত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। এসব সন্ত্রাসী গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রাঙ্গামাটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাঙ্গুনিয়া, রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরিচিত লোক নিয়ে এসে শহরে জড়ো করছে আওয়ামী লীগ। এ পৌরসভার রিজার্ভবাজারকেন্দ্রিক ইসলামপুর, পুরাণপাড়া, নিউ রাঙ্গামাটি স্কুল, শহীদ আবদুল আলী একাডেমি, শিশু একাডেমি, সিনিয়র মাদ্রাসা, শাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির ভয়াবহ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, কলাপাড়া, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন পৌরসভায় বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেহেন্দিগঞ্জের ওসি উজ্জ্বল কুমার দে জানান, এরই মধ্যে বহিরাগত ও অপরিচিত লোকজনকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কলাপাড়ায় ২৫ ভাড়াটে সন্ত্রাসী পটুয়াখালী থেকে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাতে আরও ৭৫ সন্ত্রাসী আসার কথা রয়েছে।
কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে বহিরাগত সন্ত্রাসী আনার অভিযোগ করেন। সিলেটে ১৬টি পৌরসভার মধ্যে ৭টি পৌরসভায় শাসকদলের ক্যাডারদের কেন্দ্র দখল করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট কাস্টিংয়ের আশংকা করেছে বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন অভিযোগ করেন, হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। কোনো ষড়যন্ত্রই যাতে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে না পারে সে ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের কেন্দ্র পাহারায় থাকার আহ্বান জানান তিনি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ প্রার্থী। বিএনপির বিভাগীয় নির্বাচন মনিটরিং সেলের সদস্য সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মো. নাছির উদ্দিন এরই মধ্যে অভিযোগ করেছেন, সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী বিভিন্ন পৌরসভায় অবস্থান করছে। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া, পটিয়া, বাঁশখালী ও বারৈয়ারহাট পৌরসভায়।
মিরসরাই পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পারভেজ বলেন, পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগ্রাম, জামশেদ, আলম, মোয়াজ্জেম, জাহিদ হোসেন আবার ফিরে এসেছে। তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নূর নবী, রাজুসহ বেশ কয়েকজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছে। তারা প্রকাশ্যে দা, ছুরি, কিরিচ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল করতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভাড়া করে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনেছে। রাউজানের বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডার এলাকায় এসেছে। নগরীর এমইএস কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ, সিটি কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা কীভাবে ভোট ডাকাতি করবে, কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করবে এসব ছক বা পরিকল্পনা করছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো ভোট ডাকাতির মহোৎসবের পরিকল্পনা করছে তারা। সীতাকুণ্ড পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত নায়েক শফিউল আলম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য উপস্থিত হওয়ার পর দলের মনোনীত প্রার্থী বদিউল আলমের অনুসারী ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রেস ক্লাবে হামলা চালায়। এ থেকে সহজে অনুমেয়, তারা নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট নিয়ে নেবে।
টাঙ্গাইলের ৮ পৌরসভাতেই ভোট ডাকাতির আশংকা করা হচ্ছে। জেলার সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভার মধ্যে মধুপুর, ভূঞাপুর, গোপালপুর ও সখীপুরের কয়েকটি কেন্দ্র রয়েছে। কুমিল্লার চান্দিনা, হোমনা, দাউদকান্দি, লাকসাম, বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এসব পৌরসভার ভোট কেন্দ্রের আশপাশে আগে থেকেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হচ্ছে বলে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। যশোর, চৌগাছা, নওয়াপাড়া, মণিরামপুর, বাঘারপাড়া ও কেশবপুর পৌরসভায় ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করে আসছেন, কেন্দ্রওয়ারী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ক্যাডার বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। চৌগাছায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম সাইফুর রহমান বাবুল অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রওয়ারী ভোট কাটার কমিটি গঠন করেছে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, গফরগাঁওসহ বেশ কয়েকটি পৌরসভায় ভোট ডাকাতির আশংকা রয়েছে। এছাড়া বগুড়া, রংপুর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পাবনাসহ বিভিন্ন পৌরসভায় ভোট ডাকাতির আশংকার কথা জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন