শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ভোলার কাঁকড়া রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে

মাসুদ রানা,ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের চরফ্যাশন উপজেলায় শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক ভাবে কাঁকড়া চাষ। সেখান থেকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৮ দেশে এ কাঁকড়া রপ্তানি করা হচ্ছে। ভোলা জেলায় ধান, গম, মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালনের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে কাঁকড়ার চাষ।

কাঁকড়া চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন সেখানকার অনেক চাষী। কাঁকড়া চাষ, শিকার ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ।

জেলার দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় চরফ্যাশন উপজেলার চর কচ্ছপিয়া, চর মন্তাজ, চর পাতিলা, চর দাঁতভাঙ্গা, কালকিনি, চর মানিকা, চর নিজাম, চর কুকরি মুকরি, ঢালচরসহ মনপুরা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় ৪০,০০০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান রয়েছে।
এসকল এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার ছোট-বড় খাল। এলাকাগুলো সাগরের কাছাকাছি হওয়ায় লবণাক্ত পানিতে এখানে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়া উৎপাদন হচ্ছে।
এসকল খালে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া। বড় আকারের কাঁকড়া খাল থেকে ধরে বিক্রি করা হলেও ছোট কাঁকড়াগুলো পুকুর বা হ্যাচারিতে চাষ করছেন অনেক চাষী।

কাঁকড়া চাষীরা জানায়, এ এলাকাগুলো সাগর ও নদীপ্রধান হওয়ায় খাল ও পুকুরে জাল দিয়ে হ্যাচারি তৈরি করে অনায়াসে কাঁকড়া চাষ করা হয়।
লবণাক্ত পানির কারণে কাঁকড়া চাষে অনেক সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া রোগ বালাইও কম হয়। কাঁকড়ার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় কুইচ্চা কুচিলা, চেওয়া মাছ, চিংড়িগুড়া, শুঁটকি ও ওলুপা মাছ।
কম খরচ ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় চাষীরাও সারাদিন কাঁকড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন পুকুর ও হ্যাচারিতে।

চর কুকরি এলাকার একজন কাঁকড়া চাষী জানান, তিনি ২০১৩ সালে এফডিবি সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ২৪ শতাংশ জমির পুকুরে নেটজাল দিয়ে কাঁকড়া চাষ শুরু করেন।
মাত্র ৬ মাসে এক লাখ ৫০,০০০ টাকা পুঁজি খাটিয়ে কাঁকড়া বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা আয় করেন। তখন থেকে তিনি কাঁকড়া চাষকে প্রধান পেশা হিসেবে নিয়েছেন।

এদিকে, উপকূলে কাঁকড়া শিকার করে অনেক বেকার যুবক অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেয়েছেন। এখানকার নদী ও খালগুলোতে কাঁকড়া শিকার করে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জানা গেছে, চাষ ও শিকার করা কাঁকড়া বিক্রি করা হয় স্থানীয় আড়তে। ১০০ গ্রাম ওজনের নিচে প্রতি পিস কাঁকড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা হারে প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
গ্রেড সাইজ হলো ২০০ গ্রাম (গর্দা) এর ওপরে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১,০০০টাকা করে বিক্রি করা হয়। এসকল কাঁকড়া প্রতিদিন ঢাকায় চালান করা হয়।

চর কচ্ছপিয়া ঘাটের কাঁকড়া ব্যবসায়ী সিরাজ জানান, তার আড়তের অধীনে প্রায় শতাধিক কাঁকড়া শিকারি রয়েছে।
চাষী ও শিকারিরা কাঁকড়া এনে তার আড়তে বিক্রি করেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাঁকড়া কেনেন। এসকল কাঁকড়া প্রতিদিন লঞ্চযোগে ঢাকা পাঠান। সেখান থেকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৮ দেশে এ কাঁকড়া রপ্তানি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এসকল চাষীদের উন্নত কারিগরি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা করা হলে কাঁকড়া চাষে অনেকে আরো আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

বাংলাদেশ থেকে ১৯৭৭ সালে
প্রথম ২,০০০ ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়। আর গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ডলারে। আগের বছর, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে।
২০১১-১২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৭২ লাখ ডলারের কাঁকড়া। দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া কাঁকড়ার ৯২ শতাংশই যাচ্ছে চীনে। এর বাইরেও রপ্তানি হয় মালয়েশিয়া, জাপান, হংকং, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরে।
পরিমাণের দিক থেকেও কাঁকড়ার রপ্তানি বেড়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এ দেশ থেকে ২,৯৭৩ টন কাঁকড়া রপ্তানি হলেও ২০১১-১২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪,৪১৬ টনে। বর্তমানে রপ্তানি ৫ হাজার টন ছাড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই থেকে জানুয়ারি) এ দেশ থেকে ৫১ লাখ ৫৯,৭০৭ ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু চীনেই গেছে ৪৭ লাখ ৩৩,১০৯ ডলারের কাঁকড়া। সে দেশে খাদ্য হিসেবে কাঁকড়ার চাহিদা বেশ।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, রপ্তানি হওয়া কাঁকড়ার ৮০-৮৫ শতাংশই প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরণ করা। বাকিটা খামারে পরিচর্যা করে (ফ্যাটেনিং) রপ্তানি হয়আহরণকারীরা যত কাঁকড়া ধরেন, তা রপ্তানিকারকদের হাতে পৌঁছার আগেই ১০-১৫ শতাংশ মারা যায়। রপ্তানিকারকেরা এরপর ফ্যাটেনিং করেন।
ওই অবস্থায় অসুস্থ ও পা ভাঙা কাঁকড়া আলাদা করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। কিছু কাঁকড়া মারাও যায়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

স্ত্রী হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কারাগারে

ভোলার লালমোহনে মাহমুদা মেহের তিথি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগবিস্তারিত পড়ুন

ভোলায় কিশোরীকে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে গণধর্ষণ!

ভোলার লালমোহনে এক কিশোরীকে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে গণধর্ষণবিস্তারিত পড়ুন

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজ ছাত্রাবাস ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, আহত-১০

কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি| ভোলার মনপুরায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় ওবিস্তারিত পড়ুন

  • দ্বিতীয় শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, লম্পট শিক্ষক আটক
  • ভোলায় যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে,৩৫ যাত্রী আহত
  • ভোলার খবরঃ ইলিশ ধরার অপরাধে ১৭ জেলের কারাদন্ড
  • বর্ষায় ফসল হারানোর কষ্টে ক্ষেতেই মারা গেলেন কৃষক
  • ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিতে ১০৫০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত
  • ভোলায় মেঘনা নদী থেকে মায়াবী হরিণ উদ্ধার
  • ভোলায় জেলে পুনর্বাসনের চাল প্রকৃত জেলেদের মাঝে বিতরণের দাবি
  • ভোলায় পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • ভোলায় ভাষা শহীদদের প্রতি বিভিন্ন মহলের শ্রদ্ধাঞ্জলি
  • হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার নন্দিত বাবুই পাখির বাসা
  • ভোলায় যাত্রীবাহি লঞ্চের ধাক্কায় কার্গো ডুবি, নিখোঁজ ১
  • ভোলায় মানসীক প্রতিবন্ধি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার