ভোলায় শিক্ষকদের অনিয়ম, থেকে বঞ্ছিত শিক্ষার্থীরা
মাসুদ রানা, ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার মনপুরা উপজেলার ১নং ইউনিয়নের কলাতলী চরাঞ্চলের বিদ্যালয়েরে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকদের যাতায়াতে অনিয়ম এবং অনুপস্থিতির করণে হাজারো কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। ফলে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহতের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন
কলাতলী চরাঞ্চলের ভুক্তভোগিরা। এলাকাবাসিরা জানায়, কলাতলী চরাঞ্চলের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহশিক্ষকগন দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিতভাবে মাসিক বেতনসহ সরকারি অনুদান ভোগ করে যাচ্ছেন।বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে রয়েছে
১/মাছুয়াখালী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, ২/চর খালেক পনেরশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
৩/কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
৪/মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শীলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে মাছুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রধান শিক্ষক দয়াল হরির অনিয়ম দুর্নীতি ও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক দয়াল হরি ওই বিদ্যালয়ের পাশবর্তী মানুষের উপর ক্ষোভ আক্ষেপে ফেটে উঠে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের একান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের কচিঁকাচাঁ শিক্ষার্থীদের জন্য গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করেন উক্ত নলকূপটি প্রধান শিক্ষক দয়াল হরি বসাতে বাধা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে আবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দ করেন ঐ শিক্ষক মাঠ ভরাট কাজেও বাধা সৃষ্টি করে। এই সমস্ত বিষয়গুলো ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
অপরদিকে জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম একাএকা ৫০০ হতে ৬০০ শিক্ষার্থীদের একা শিক্ষা প্রদান করেন, তিনি বলেন এপাশ থেকে হাজিরা খাতা ডাকলে অপর পাশে দু’ঘন্টা লেগে যায়, যা একা একা নিজের পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছেনা।
অপর দিকে এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চরখালেক পনেরশ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ,কলাতলী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে একই চিত্র ফুটে উঠে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপজেলা কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন আমরা প্রতি মাসে প্রত্যেক স্কুলে দূর্যোগ বিষয়ক ক্লাস নেই, স্কুল শেসনে গিয়ে কোন প্রধান শিক্ষক দেখা মিলেনা এবং স্কুল গুলো সকাল ১২টার মধ্যে ছুটি হয়ে যায় এবং এলাকার অভিবাবকরা আমাদের কাছে এই সমস্ত ব্যাপারে অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে বিগত দিনে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়”কলাতলী চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে ঘণ্টা বাজেনা,পতাকা উঠে না” ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পেলেও অজ্ঞাত করণে সংবাদ প্রকাশের তারিখে আগে পরে মেডিকেল ছুটি নিয়ে শিক্ষকগণ পার পেয়ে যান। অপর দিকে বর্ষার মৌসুমে চরাঞ্চলে ৪মাস বন্যার অজুহাতে বিদ্যালয় অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখে। অবশিষ্ঠ সময় শিক্ষকদের যাতায়াত নদী পারাপারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পক্ষ থেকে যাতায়াতের জন্য ভাড়া ফ্রি করে দিলেও ওই সব শিক্ষক তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কিংবা বাড়িতে বসে অলস দিন কাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে ও রয়েছে নানা অনিয়ম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মিলকরে এইসব অনিয়ম করেন। জানা যায় গত এক দু বছরে ও তিনি কলাতলী পরিদর্শনে যাননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
স্ত্রী হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কারাগারে
ভোলার লালমোহনে মাহমুদা মেহের তিথি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগবিস্তারিত পড়ুন
ভোলায় কিশোরীকে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে গণধর্ষণ!
ভোলার লালমোহনে এক কিশোরীকে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে গণধর্ষণবিস্তারিত পড়ুন
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজ ছাত্রাবাস ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, আহত-১০
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি| ভোলার মনপুরায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় ওবিস্তারিত পড়ুন