ভোলায় সরকারি হাসপাতাল যেন ডাস্টবিনের করিডোর
মাসুদ রানা, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা :
ভোলা চরফ্যাশনের সরকারি হাসপাতাল নয় যেন ডাস্টবিনের করিডোরে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে চরফ্যাশন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নেই কোন তদারকি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চরফ্যাশন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রান্না ঘরের দরজার সামনে অব্যবহৃত ওষুধের স্তুপ পড়ে আছে। আর মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে নামাজ পড়ার স্থানের সামনে পাপসের পরিবর্তে ময়লা ও নোংরা সাদা বেডসিট দেয়া হয়েছে। এরপর পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে বাথরুমের দুইটি বেসিনে পানের চিপটি লেগে আছে। এবং ফোরে উপরের মেঝেতে প্লাষ্টিকের বাটিতে ময়লা হাড় গোর পড়ে ছিল। সু-রক্ষিত ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও ভিআইপি ওয়ার্ডের রুমের ফ্যান, বেডসিটে ও বাথরুমে ময়লার যেন অভাব নেই। এমনকি হাসপাতালের চার পাশে পুরনো ওষুধের বাক্স ও বোতল, ইনজেকসনের সিরিন্জ থেকে শুরু করে ময়লা আর্বজনার বিন্দু মাত্র কমতি নেই। চরফ্যাশনের হাসপাতালে দূর্গন্ধে ঢোকা যায়না বলে বিভিন্ন ধরনের লোকজন মন্তব্য করেন। সেই সময় চরফ্যাশন হাসপাতালের একজন সুইপারদের দেখা মিলেনি।
সচেতন ও সাধারন মানুষরা মন্তব্য করে বলেন, চরফ্যাশন হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হন সুস্থ্য হওয়ার জন্য এরকম নোংরা পরিবেশ থাকলে সুস্থ্য হওয়া তো দুরের কথা আরো মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়ার উপক্রম। এমনকি কোন সুস্থ্য মানুষ হাসপাতালে রোগী দেখতে আসলে তারাও উল্টো অসুস্থ্য হয়ে পড়বে।
রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরু ও ছাগল হাস-মুরগি বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হই আর রাতের বেলা আমাদের টাকা ও মোবাইল চুরি হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন গুরুত্ব দেননা বলে তারা জানান। আরো অভিযোগ উঠেছে যে, হাসপাতালের সব ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালালরা ভীড় করে থাকেন যে, কে কখন কোন সময় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে নেবেন বলে প্রতিযোগিতা চলছে দালালদের মধ্যে।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, যে চরফ্যাশন হাসপাতালের ডাক্তাররা কখন হাসপাতালের সময় পার হবে আর কখন গিয়ে আমরা বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিকনসেন্টারে বসে রোগী দেখবো। আর রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষা না লাগলেও তারা বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলোতে পরিক্ষা নিরিক্ষা করার জন্য টেষ্ট দিচ্ছেন। কারন ডাক্তাররা প্রতি মাসে বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে মাশোয়ারা পাচ্ছেন বলে জানা যায়।
চরফ্যাশন হাসপাতালের টি এস ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমানের এর কাছে জানতে চাইলে জানা যায় তিনি ঢাকায় পারিবারিক কাজে ছুটিতে গেছেন এবং চরফ্যাশন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিরাজউদ্দিনকে তাকে হাসপাতালের নোংরা পরিবেশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি একবার গিয়ে দেখে এসেছি। পরবর্তীতে তাকে
ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পারিবারিক কাজে ছুটিতে গেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর হাসপাতালের ছুটির রেজিষ্টার খাতা দেখতে চাইলে ভোলা সিভিল সার্জন
এর কাছে রেজিষ্টার খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি এ কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
স্ত্রী হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কারাগারে
ভোলার লালমোহনে মাহমুদা মেহের তিথি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগবিস্তারিত পড়ুন
ভোলায় কিশোরীকে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে গণধর্ষণ!
ভোলার লালমোহনে এক কিশোরীকে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে গণধর্ষণবিস্তারিত পড়ুন
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজ ছাত্রাবাস ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, আহত-১০
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি| ভোলার মনপুরায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় ওবিস্তারিত পড়ুন