মধুর সমাপ্তির অপেক্ষা
একই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ, একই রকম হাতছানি। গত বছর বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এ বছরও তা-ই।
গত বছরের শেষ ওয়ানডে জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। সুযোগটি কাজেও লাগিয়েছে স্বাগতিকরা। এ বছরও একই সুযোগ। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেই জিম্বাবুয়েকে আরেকটি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেবে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে গত বছরের শেষটা মধুর হলেও শুরুটা কিন্তু যাচ্ছেতাই ছিল বাংলাদেশের। বছরের শুরু থেকে এক ডজন ম্যাচ হেরে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল বাংলাদেশ। বছরের শেষভাগে এসে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। আর এ বছরটা তো স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের।
ওয়ানডেতে এ বছরে বাংলাদেশের শুরুটাই হয়েছিল জয় দিয়ে, বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে। এর পর থেকে তো ওয়ানডেতে সাফল্যের মুকুটে একটি করে পালক যোগ করেই যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়। আর সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জয়ের কীর্তি।
এবার প্রথম ওয়ানডেতে তো জিম্বাবুয়েকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের তিক্ততা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের। সহজেই সিরিজ জয়ের পর এবার তাই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করাতেই চোখ মাশরাফি, মুশফিক, তামিমদের। বুধবার ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে ইমরুল, নাসির আর সাব্বির ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ অবশ্য ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে ডাক মারা লিটন দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ, করেন মাত্র ৭ রান। দুই ম্যাচের একটিতেও হাসেনি মাহমুদউল্লাহর ব্যাট।
আর পেসার মুস্তাফিজ প্রথম ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। আরেক পেসার আল-আমিন তো দুই ম্যাচেই দুর্দান্ত বল করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দুই সেরা ব্যাটসম্যান এল্টন চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজাকে পর পর দুই ওভারে বিদায় করেন আল-আমিন। আর মাশরাফির ধারাবাহিকভাবে লাইন লেন্থ বজায় রেখে বল যাওয়ার নমুনা তো আছেই।
লিটন-মাহমুদউল্লাহ দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হলেও শেষ ম্যাচে হয়তো আরেকবার সুযোগ পাবেন তারা। ফলে এই সিরিজেও আর একাদশে সুযোগ পাওয়া হচ্ছে না এনামুল হক বিজয়ের। পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বোলিংয়েও। সেক্ষেত্রে পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির ওয়ানডে অভিষেকটাও এ বছরে আর হচ্ছে না।
তবে সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন একটাই- জিম্বাবুয়েকে আরেকবার হোয়াইটওয়াশ করা। সেই সঙ্গে বছরের শেষটাও জয়ে রাঙিয়ে রাখা। এমন মধুর সমাপ্তির অপেক্ষাতে এখন গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমিরাও।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন