মধু এবং দুধ একসঙ্গে খেলে কী হয়..?
বিভিন্ন রোগ নিরাময়কারী হিসেবে বহুকাল আগে থেকেই দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি। রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রাণিজ প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। দুধ ও মধু যখন একসঙ্গে মেশানো হয়, এটি আরো স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে, দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতার কথা।
মানসিক চাপ কমায়: গরম দুধ ও মধু একসঙ্গে খেলে স্নায়ুর ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বেশি থাকলে দিনে দুবার এই মিশ্রণ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুম ভালো করে: দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে ঘুমের এক ঘণ্টা আগে খেলে এটি মস্তিষ্কের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। মধু মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
হজম ভালো করে: পেট ফোলা ভাব বা হজমের সমস্যা হলে গরম দুধ ও মধুর মিশ্রণ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পাকস্থলী থেকে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।
হাড়ের জন্য ভালো: দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর মধুর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। তাই দুধ ও মধুর মিশ্রণ হাড়ের জন্যও ভালো। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়ায়: সকালবেলা গরম দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সারা দিন শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। তাই পাকস্থলী ভালো রাখতে এই মিশ্রণ খেতে পারেন।
তারুণ্য ধরে রাখে: মধু ও দুধের মিশ্রণ খাওয়া বার্ধক্যের আগমনকে ধীর করে। তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এই খাবার শতবর্ষ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মনোযোগ বাড়ায়: মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে। আর দুধ মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। দুধ ও মধুর মিশ্রণটি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন