পাত্র/পাত্রী পছন্দ হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক হলেই বিয়ে। সম্পূর্ণ অপরিচিত দুজন মানুষ সারা জীবনের জন্যে এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দেন দাম্পত্য জীবন। কিন্তু কথাগুলো বলা যতো সহজ বাস্তবতা ততো সহজ নয়। প্রেমের বিয়েতে সঙ্গীকে বুঝতে আলাদা করে সময় নিতে হয় না। কিন্তু সম্বন্ধের বিয়েতে একে অপরকে ঠিকঠাক বুঝে নিতে প্রয়োজন দীর্ঘ সময় এবং সহনশীলতা। তবে সঙ্গীকে না বুঝতে পারলেও বাধ্য হয়ে সংসার করে যান অনেকেই।

বিয়ে পূর্ববর্তী ভীতি দূর করুনঃ

সম্বন্ধের বিয়েতে পাত্র-পাত্রীর মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করে। এই ভয় বা দুশ্চিন্তার মূল কারণ হল একজন অচেনা মানুষের সঙ্গে নিজের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, তার সঙ্গে মানিয়ে চলা। নতুন একটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের চিন্তা ও মতের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়গুলোও কাজ করে। সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই ভীতিগুলো সহজেই কাটিয়ে উঠা যায়।

কখনো অভিযোগ করবেন না:

সম্বন্ধের বিয়েতে দায়িত্ব এবং প্রত্যাশা বেশি থাকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাপের মধ্যে থাকেন বলে পছন্দ-অপছন্দের শতভাগ পূরণ হয় না। পারিবারিক কিছু আড়ষ্টতাও থাকে। কিন্তু এসব নিয়ে অভিযোগ করলে চলবে না, বরং সঙ্গী এবং তার পরিবারকে সময় নিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

ভালবাসার সম্পর্ক:

ভালবাসা দিয়ে যেকোনো সমস্যাকে জয় করা যায়। প্রথম সাক্ষাতেই ভালবাসা না হলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। যদি শুরুতেই আপনি প্রেমে পড়েন, তবু সঙ্গীকে ভাললাগার কথা না জানিয়ে সময় নিন। যেন সেও তার মতো করে ভালবাসার সুযোগ পায়। সম্বন্ধের বিয়ে হল ত্যাগ এবং সংকল্পের একটি জায়গা, এখানে সামান্য নেতিবাচক কারনে ধৈর্য হারালে বিপদ।