শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মনোনয়ন জমা দিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

কুষ্টিয়া: জেলার খোকসা উপজেলায় মনোনয়ন জমা দেয়ার পর থেকেই মাঠছাড়া বিএনপি প্রার্থীরা। হামলা ও মামলার ভয়ে মাঠে নামছেন না তারা। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে মনোনয়ন জমা দিলেও অব্যাহত চাপের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে প্রার্থীরা থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত দলের শীর্ষ নেতারা।

ইতোমধ্যে বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাবুল আক্তার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ওই ইউনিয়নে মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ মনোনয়ন উত্তোলন করলেও বাবুলের লোকজন তার বাড়িতে হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।

খোকসা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সবকটিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী দিয়েছে। ৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। আর একটি ইউনিয়নে জাসদের একজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ১০জন। সবমিলিয়ে ২১জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৯টি ইউনিয়নে। ৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ এপ্রিল।

শোমসপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের ভাই বদর উদ্দিন খান। এ ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মনিরুজ্জামান কাজল। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর থেকেই হুমকির মধ্যে আছেন কাজল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তার ওপর। একই অবস্থা বাকি ইউনিয়নগুলোতে।

মোবাইলে কথা হলে মনিরুজ্জামান কাজল বলেন, ‘মাঠে থাকার মতো কোনো পরিবেশ নেই। নানা ধরনের হুমকি আসছে। ঝুঁকির মধ্যে আছি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিন্তা করছি।’

শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়নপত্র দিয়েছেন মোমিনুর রহমান। এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তিনি। তার ওপর নানাভাবে হুমকি আসছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। দুই কর্মী শরিফুল ও রশিদকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মোমিনুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মজিদের লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চাপ দেয়া হয়েছে। আর মাঠে নামলে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে শাসিয়ে যাচ্ছে তার লোকজন। কি করব বুঝতে পারছি না। প্রতিবাদ করলেও বিপদ।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজিদ জানান, পরাজয় জেনে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিএনপির লোকজন।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাতে ১০ থেকে ১২টা মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে জাহাঙ্গীরকে না পেয়ে ভাঙচুর করে চলে যায়।

জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন,‘আমি রাতে বাড়ি ছিলাম না। সন্ত্রাসীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাড়িতে এসে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। আমার স্ত্রী স্ট্রোক করে অসুস্থ। নির্বাচনের মাঠে নামলে সমস্যা হবে বলে বাড়ির লোকজনকে শাসিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করি। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে একজন দারোগা বাসায় আসে। এতে মনে হয় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের যোগসাজস ছিল। নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ নেই।’

বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তার ইউনিয়ন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল আজিজ। আব্দুল আজিজ মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও জমা দিতে পারেননি। তার বাড়িতে হামলা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয় বাবুলের ক্যাডার বাহিনী। এ ইউনিয়ন থেকে বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী আর কোনো প্রার্থী নেই। তিনি একক প্রার্থী হিসেবে জয়ী হতে চলেছেন।

আব্দুল আজিজ অভিযোগ করে জানান, মনোনয়নপত্র কিনলেও বাধার কারণে জমা দিতে পারেননি। বাড়িতে হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার বলেন, ‘যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমাকে হেয় করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আব্দুল আজিজের সাথে আমার সমঝোতা হয়েছে। এ কারণে তিনি মনোনয়ন জমা দেননি।’ হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ একজন নেতা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখার কারণে পরিবেশ আরো ঘোলাটে হয়ে উঠছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী রুমী জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নামলে আওয়ামী লীগের লোকজন পা ভেঙে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা জনসভা করে সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী দাউদ হোসেন জানান, পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঢাকা-খুলনা রেল আংশিক চালু হয়েছে সুদীর্ঘ্য ১২ ঘণ্টা পর !

অবশেষে প্রায় ১২ ঘন্টা পর কুষ্টিয়ার পোড়াদহে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ারবিস্তারিত পড়ুন

১৫ হাজার কলাগাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় হিজলাবট এলাকায় গড়াই নদের চরে কলাগাছ লাগিয়েছিলবিস্তারিত পড়ুন

কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খোলা মাঠে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • গ্রেপ্তার আমির আইয়ুবের স্ত্রী তিথি
  • কুষ্টিয়ায় ট্রাক-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
  • মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন, আপনাকে গুলি করা হবে
  • কুষ্টিয়ায় গরু ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই , পুলিশের গুলিতে ছিনতাইকারী আহত
  • কুষ্টিয়ায় ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘ডাকাত’ নিহত
  • কুষ্টিয়ায় শ্রমিক সর্দারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা
  • কুষ্টিয়ায় মাহফিলে যাওয়ার পথে নিহত দুই বাসযাত্রী, আহত ৪৭
  • কুষ্টিয়ায় ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত
  • কুষ্টিয়ায় বটি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন করলেন পাষন্ড স্বামী
  • দৌলতপুরের সড়ক গুলো শ্যালো ইঞ্জিনের তৈরী অদ্ভুত পরিবহনের দখলে
  • দৌলতপুরে প্রাইভেটকার সহ ২‘শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
  • কলার ভেতরে বিষ দিয়ে শিশুকে হত্যা!