মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, বিমান চলাচলে বাধা দিলে মৃত্যুদণ্ড
বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল আইন-২০১৭’ খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আইনটির বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
সচিব আরো জানান, ১৯৬০ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের আওতায় বিমান চলাচল ও পরিবহন হয়ে আসছিল। বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে আইনটি পর্যাপ্ত নয়। ফলে ওই আইনটির আদলে একটি যুগোপযোগী আইন করার প্রস্তাব করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে সচিব জানান, যদি কেউ বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, যা মানুষের জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে বা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটির সর্বোচ্চ শাস্তি ধরা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধানের কথা বলা আছে ওই ধারায়।
এ ছাড়া আইনের ২৬ ধারা উল্লেখ করে সচিব জানান, বিমানের ‘এয়ার নেভিগেশন অর্ডার’ (এএনও) অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা না করা, বিমান পরিচালনায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা।
প্রধানমন্ত্রীর বহনকারী বিমানে যে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছিল তাঁর সূত্র ঘরে ওই আইন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি তদন্তে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির সুপারিশ এই আইনটির খসড়া তৈরির সময় অনুসরণ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন তাঁদের এই আইনের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম জানান, এই আইনটি এখনো সংসদে পাস হয়নি। তাঁদের বিচার চলছে। তবে আসামিদের এই আইনের আওতায় আনার সুযোগ নেই।
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন-২০১৭, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭, বস্ত্রনীতি-২০১৭ খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে যায় বিমান। ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরো দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই দুই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এই ঘটনায় এ নিয়ে দুই দফায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাদের বিচার চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন