মরদেহের ছবি দেখে ফজলে রাব্বিকে চিনেছেন মা
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহতদের একজনের মরদেহের ছবি দেখে যশোরের এক দম্পতি নিশ্চিত করেছেন, এটি তাদের ৫ মাস আগে নিখোঁজ হওয়া ছেলে ফজলে রাব্বি।
সে ছিল যশোরের মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র।
নারায়ণগঞ্জে গতকাল (শনিবার) পুলিশের অভিযানে নিহত তিন অভিযুক্ত জঙ্গির মধ্যে একজন গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী বলে পুলিশ উল্লেখ করলেও বাকী দুজনের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক দুপুরে বিবিসিকে বলেছেন, “তাদের পরিচয় অফিশিয়ালি আমরা জানিনি এখনো। এই মুহূর্তে তাদের পোস্ট মর্টেম (ময়না তদন্ত) চলছে”।
তবে যশোরের কোতওয়ালি থানার কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার একটি পরিবার জানাচ্ছে, নিহত বাকি দুজনের একজন তাদের পরিবারেরই ছেলে ফজলে রাব্বি বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
এই পরিবারের একজন আত্মীয় যিনি নিজেকে ফজলে রাব্বির মামা বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন, বিবিসিকে তিনি বলেন, “পত্রিকায় ছবি দেখে আমি ভাল চিনতে পারলাম না। আমি যখন দেখিছি তখন হালকা দাড়ি ছিল, কিন্তু নাক-টাক দেখে ওর আম্মু বলতেছে এটা ফজলে রাব্বি”।
এই ব্যক্তিটি বলছিলেন, তিনি সবশেষ ফজলে রাব্বিকে দেখেছিলেন গত বছর কোরবানির ঈদে।
সে নিয়মিত নামা-রোজা করত এবং একবার তিনদিনের জন্য তাবলীগে গিয়েছিল। যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল সে।
পাঁচ মাস আগে এক সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটরের কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে।
এসময় বাড়িতে শুধু তার ছোটবোন ছিল। তাকে কোন কিছু না বলেই চলে যায়।
এরপর তাকে বহু খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে, জাতীয় পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, থানায় জিডি করা হয়েছে, বলছিলেন ফজলে রাব্বির মামা।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে ফজলে রাব্বিই নারায়ণগঞ্জে নিহত তিন অভিযুক্ত জঙ্গির একজন।
কিন্তু শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা আরো তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানান।
দুই মাস আগে যশোর পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে যে পাঁচ জনের ছবি প্রকাশ করে তার মধ্যে এই ফজলে রাব্বির ছবি ছিল বলে উল্লেখ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ফজলে রাব্বির বাবা কাজী হাবিবুল্লাহ যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। এখন অবসর জীবন যাপন করছেন।
তার সঙ্গে টেলিফোনে খুব সামান্য কথা বলবার সুযোগ হয়। তিনি বলেন, তার ছেলে প্রকৌশলবিদ্যায় পড়তে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি অর্থসংস্থান করতে না পেরে তাকে এমএম কলেজে ভর্তি করান।
এতে ছেলে তার উপর মনঃক্ষুণ্ণ ছিল। এই রাগ থেকেই ছেলে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল বলে তার ধারণা ছিল এতদিন।
“সে ধর্মপ্রাণ ছিল। কিন্তু এমন কিছুর সাথে জড়িয়ে গেছে এটা কখনো বোঝা যায়নি”, বলছিলেন মি. হাবিবুল্লাহ।
এই পরিবারটি জানাচ্ছে, তার শেষকৃত্যের জন্য ছেলের মৃতদেহ ফিরিয়ে নিতে চান, কিন্তু এজন্য কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে তা তাদের জানা নেই।
তারা এজন্য কোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি এবং পুলিশের তরফ থেকেও এ ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন