মশার কামড়ের চুলকানি থেকে বাঁচতে চাইলে…
দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন মশা থাকবেই। শুধু গুনগুন করেই যদি শান্ত থাকতো তবে কোন সমস্যাই ছিল না। কিন্তু রক্ত চুষে চুলকানি, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগ না বাঁধানো পর্যন্ত মশা ক্ষান্ত হবার নয়।
মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমরা কতো কীই না করি। মশা কামড়ে দিলে ত্বক লালচে হয়ে চুলকানিসহ অনেক সময় অ্যালার্জিতে রূপ নেয়। প্রাকৃতিকভাবে মশার কামড়ের চুলকানি এবং জ্বলুনি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু টিপস জেনে নিন-
মশা কামড়ালে যদি চুলকায় তবে ওই স্থানে দুই টুকরো লেবু ঘষে নিলে চুলকানি কমে যাবে। কারণ লেবুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সাইট্রিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকে যা চুলকানি দূর করে।
শরীরের যে কোন অংশে মশা কিংবা পোকার কামড়ের চুলকানি দূর করতে কুসুম গরম পানিতে বাথটাব ভরে তাতে দুই কাপ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মিনিট দশেক শরীর ডুবিয়ে রাখুন।
মশা কামড়েছে? সেইসাথে চুলকানি ও জ্বলুনি? তবে এটি সারাতে পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
ত্বক ভালো রাখে এমন ত্রিশটির বেশি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে অ্যালোভেরায়। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক। আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার জেলটুকু লাগিয়ে নিন। পোকার কামড়ের জ্বলুনি দ্রুত কমাতে এটি দারুণ কাজে দেয়।
মশার কামড়ের কারণে সৃষ্ট চুলকানি দ্রুত সারাতে মধুর কোন বিকল্প নেই। আক্রান্ত স্থানে এক ফোঁটা মধু লাগিয়ে দেখুন কেমন চট করে গায়েব হয়ে গেছে চুলকানি।
তাৎক্ষণিক পোকা কামড়ের জ্বলুনি থেকে মুক্তি পেতে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। ত্বকে সরাসরি বরফ লাগানো উচিত নয়। এক্ষেত্রে আইস ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা বরফ পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে লাগান।
ওটমিলের পেস্ট চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাই আক্রান্ত স্থানে ওটমিলের পেস্ট তৈরি করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে।
মশা অপ্রতিরোধ্য, এর বিচরণ সর্বত্র। এর কামড় থেকে বাঁচতে মশারিতো টানাবেনই সেই সাথে মসকুইটো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। মশা আছে এমন কোন জায়গায় গেলে কালো পোশাক পরুন। বাইরে বেরুলে ওডোমোস ব্যবহার করুন। সন্ধ্যার পর শিশুদেরকে সুতির ফুলহাতা জামা-কাপড় পরান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন