সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মশার কয়েলে ক্যান্সারসহ বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি

মানহীন মশার কয়েলে ঝুঁকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। এসব কয়েলে ব্যবহার করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক। ফলে কয়েলের বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে ক্যান্সার ও শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এটি দ্রুত প্রভাব ফেলছে, যা জটিল রোগব্যাধিও সৃষ্টি করতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একদিকে সরকারের তদারকির ঘাটতি অন্যদিকে জনসচেতনতার অভাবেই এসব ক্ষতিকর কয়েল পৌঁছে যাচ্ছে দেশের ঘরে ঘরে- যা মানুষের জীবনকে করে তুলছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অবস্থিত একটি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত প্রায় ২৪টি মশার কয়েলে একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বা স্বক্রিয় রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, বেশিরভাগ কয়েলেই মাত্রাতিরিক্ত ‘একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ ডি-এলথ্রিন এবং মেটোফুলথ্রিন রয়েছে। সিঙ্গাপুরের ওই রিপোর্টে দেখা যায়, ৮টি মশার কয়েলে ডি-এলথ্রিনের পরিমাণ দশমিক ১০ থেকে দশমিক ৩০ পর্যন্ত। এছাড়া আরও বেশ কিছু কয়েলে বায়োএলথ্রিন, ডিমেফুলথ্রিন, এসবায়োথ্রিনসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসয়নিক বা ‘একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’র মাত্রতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী মশার কয়েলে সর্বোচ্চ দশমিক ০৩ মাত্রার ‘একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মাত্রা শুধু মশা তাড়াতে কার্যকর, মারতে নয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজারজাত করা কয়েল শুধু মশাই নয়, বিভিন্ন পোকামাকড়, তেলাপোকা এমনকি টিকটিকিও মেরে ফেলতে সক্ষম।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মানহীন এসব কয়েলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার, শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গতার মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুও এসব ক্ষতির শিকার হতে পারে। খাদ্যে ফরমালিন ও পানিতে আর্সেনিকের প্রভাব যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি এসব কয়েলের বিষাক্ত উপাদান মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের জন্য দায়ী। এছাড়া নিত্যদিন মাথা ব্যথা বা চোখ জ্বালাপোড়া করার মতো নানা সমস্যাও হতে পারে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের রাসায়নিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার সব বয়সী মানুষের জন্যই ক্ষতিকর।
তবে শিশুদের ওপর এটি দ্রুত প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এ ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শ মানবদেহে তাৎক্ষণিকভাবে নয়, সুদূরপ্রসারী ক্ষতি করে। জটিল রোগব্যাধি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মারাত্মকভাবে।
বিদ্যমান বালাইনাশক অধ্যাদেশ- (পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্স ১৯৭১ ও পেস্টিসাইড রুলস ১৯৮৫) অনুসারে মশার কয়েল উৎপাদন, বাজারজাত ও সংরক্ষণে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতরের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। অধ্যাদেশ অনুযায়ী- অধিদফতরের অনুমোদন পাওয়ার পর পাবলিক হেলথ প্রোডাক্ট (পিএইচপি) নম্বর ও বিএসটিআই’র অনুমোদন নিয়েই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বালাইনাশক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারাত্মক ক্ষতিকর এসব কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ২০-২২টি দেশীয় বেনামি কারখানা। ভুয়া পিএইচপি নম্বর ও বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার করে আকর্ষণীয় মোড়কে এসব কয়েল বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক (সিএম) রিয়াজুল হক জানান, ঢাকা বিভাগের মধ্যে ৩৭টি ব্র্যান্ডের মশার কয়েল তৈরির অনুমোদন রয়েছে তাদের। এ ৩৭ ব্র্যান্ডের বাইরে কেউ কয়েল উৎপাদন করলে তা অবৈধ ও অনুমোদহীন। তাদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই পর্যায়ক্রমে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্রাতিরিক্ত ‘একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ সমৃদ্ধ কয়েলের কার্যকারিতা বাজারে প্রচলিত সুপ্রতিষ্ঠিত বৈধ ব্র্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা এসব অননুমোদিত কয়েলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সম্প্রতি কয়েকটি বৈধ ব্র্যান্ডের কয়েল প্রস্তুককারক কোম্পানি সিঙ্গাপুরের পরীক্ষাগারে ওই পরীক্ষাটি চালান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, বাজারে যেসব কয়েল পাওয়া যায় তাতে কতটুকু মাত্রায় ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করা হয় তা এখন আমাদের দেখার বিষয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব কয়েলের মান যাচাই করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে মশার কয়েল আমদানি করার ক্ষেত্রে একটি সুর্নিদিষ্ট নীতিমালা গঠনে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া কেউ কয়েল উৎপাদন করতে পারে না। কিন্তু কিছু কারখানা আমাদের অনুমোদন ছাড়াই কয়েল প্রস্তুত ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের কাজ চলছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?