মসজিদের টাকায় সুদের ব্যবসা করতেন মুয়াজ্জিন!
মসজিদের টাকায় সুদের ব্যবসা ও অর্থ সংক্রান্ত লেনদেনের জেরেই খুন হন পুরান ঢাকার ইসলামপুর জব্বু খানম মসজিদের মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মুয়াজ্জিন বিল্লাল হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- সারোয়ার আলম, হাবিব, মোশাররফ ও তোফাজ্জল।
উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জব্বু খানম মসজিদের নিচে ৩৩টি দোকান আছে। ওই দোকানগুলো থেকে মুয়াজ্জিন বিল্লাল প্রতি মাসে ৪২ হাজার টাকা ভাড়া তুলতেন। কিছু টাকা মসজিদের পেছনে খরচ হতো। বাকি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টেই জমা রাখতেন। আর জমানো এসব টাকা দিয়েই তিনি সুদের ব্যবসা করতেন।
তিনি আরও বলেন,মুয়াজ্জিন হত্যার ঘটনায় ওই মসজিদের খাদেমসহ চারজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’
মফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন ২৮ বছর ধরে ওই মসজিদে দায়িত্ব পালন করছেন। মসজিদের টাকা থেকে তিনি সুদে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে দাদন দিতেন।
লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার সারোয়ার আলম এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। বিল্লাল হোসেন তাকে সুদের বিনিময়ে ৮ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। মূলত এই টাকা মুয়াজ্জিন ফেরত চাইলেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সারোয়ার আলম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
মফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগেই মুয়াজ্জিন হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। দুইবার তারা চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ তৃতীয়বারের মতো কেরানীগঞ্জের একটি মসজিদে বসে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন সারোয়ার আলম। গত ৩ এপ্রিল রাতে তারা সফল হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের জব্বু খানম জামে মসজিদের ভেতর থেকে মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেনের (৫৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। পুরান ঢাকার ২৪ নম্বর ইসলামপুর রোডের চারতলা একটি ভবনের ওপরের তিনতলা জুড়ে জব্বিু খানম মসজিদ, নিচতলায় মার্কেট। মসজিদের তৃতীয় তলার একপাশে তিনটি কক্ষ। এর পশ্চিম পাশের কক্ষটিতে থাকতেন বিল্লাল।
বিল্লালের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিদ্দিকনগরের দাসুরাপাড়ায়। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি ঢাকায় থাকেন। পড়ালেখা করেছেন তাঁতীবাজারের একটি কওমি মাদ্রাসায়। তার এক ছেলে ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়েন। আর মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী থাকেন মানিকগঞ্জে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিডিয়া এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন