মসলা খাওয়া কি খারাপ?
গ্যাস্ট্রিক, বুকজ্বালা, ঢেকুর ইত্যাদি সমস্যার জন্য আমরা সব সময় খাবারের মসলাকে দায়ী করি। আমাদের ধারণা, মসলা খাওয়া ভালো নয়। খাবারে যত কম মসলা যোগ করা যায়, ততই ভালো। কিন্তু নানা ধরনের মসলার নানান ভেষজ গুণ রয়েছে। পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, রসুন ইত্যাদি আমাদের খাবারের স্বাদ যেমন বাড়ায়, তেমনি আরও কিছু উপকার করে থাকে। এ বিষয়ে কিছু তথ্য:
পেঁয়াজ: প্রাচীনকাল থেকেই ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে পেঁয়াজ ব্যবহৃত হয়। বদহজম ও রক্তচাপ কমানো, রক্তজমাট বাঁধা দূর করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পেঁয়াজের উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।
রসুন: রসুনে গন্ধক বা সালফার যৌগ আছে। এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, সর্দি-কাশি সারায়। উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের ক্ষতিকর চর্বি কমায়, রক্ত জমাটবাঁধা রোধ করে। তাই রসুন হৃদ্বান্ধব। শ্বাসকষ্ট কমায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। রসুনের এলিসি নামের উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আদা: আদা রক্ত সংবহনে সাহায্য করে। কাশি, বমিভাব কমাতে এবং বদহজমে আদা ব্যবহৃত হয়। আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও আদা উপকারী। মোশন সিকনেস কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
মরিচ: মরিচ স্নায়ুতন্ত্রকে উজ্জীবিত করে, বাতের ব্যথা কমায়। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে এবং খিদে বাড়ায়। কাঁচা মরিচ ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস।
হলুদ: হলুদে পর্যাপ্ত আয়রন আছে বলে এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাকটেরিয়ারোধী। পাকস্থলীর প্রদাহ কমায়, কফ-ঠান্ডায় উপকারী। ক্ষতস্থানে হলুদ লাগালে তা ওই ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। প্রস্রাবের জ্বালা কমাতে হলুদের সঙ্গে মধুর মিশ্রণ উপকারী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন