মস্তিষ্ক সজাগ রাখতে অল্প করে খান!
একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলে সারা দিন শরীরটা অলস লাগে, ঘুমঘুম ভাব এসে শরীরটাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে চায়। এর কারণ, বেশি পরিমাণ খাবার খেলে পরিপাকতন্ত্রে রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কিছুটা কমে যায়।
মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে তন্দ্রা ও আলস্য এসে শরীরে ভর করে। শরীরের এই আলস্য ভাব ও তন্দ্রা দূর করতে হলে দিনের তিনবারের খাবারকে অন্তত চার থেকে ছয় ভাগ করে খেতে হবে, অর্থাৎ তিনবারের খাবারকে ভাগ করে ছয়বেলা খেতে হবে। খাবারের পরিমাণ না বাড়িয়ে এবং ক্যালরি ঠিক রেখে চার থেকে ছয়বার খেতে হবে।
এতে করে সারাটা দিন আপনি থাকবেন সতেজ, সজাগ ও সতর্ক। এভাবে প্রতিটি দিন চলতে পারলে আপনার বয়স বাড়বে ঠিকই, তবে আপনার মস্তিষ্ক থাকবে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী তরতাজা। বৃদ্ধ বয়সেও চিন্তাশক্তি থাকবে প্রখর, মেধা থাকবে ধারালো; স্মৃতিশক্তি থাকবে ঝরঝরে। মস্তিষ্ককে সজীব রাখার এই প্রক্রিয়ায় গোটা শরীরই উপকৃত হবে। ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে, ত্বকে থাকবে লাবণ্য, শরীরে থাকবে না বাহুল্য মেদের উপস্থিতি। কাজেই সবার আগে শরীরের প্রধান অঙ্গ মস্তিষ্ককে গতিময় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। মস্তিষ্ক অনেকটা কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের মতো। কম খেলেই আপনার কম্পিউটার যেমন ওপেন হতে দেরি করবে না, তেমনি আপনার মস্তিষ্কও কুয়াশায় আবৃত হবে না।
মস্তিষ্কের সঙ্গে স্মৃতির যোগ ঘটাতে পারলেই আপনার মেধা ও চিন্তার বিকাশ ঘটবে সঠিকভাবে। মস্তিষ্কের গুণেই আপনি প্রস্ফুটিতে হতে পারবেন আপন মহিমায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন