মহাত্মা গান্ধীর শেষ জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তি নায়ক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তবে ভারতে তাকে ‘বাপু’ নামেই ডাকা হয়।
স্ত্রী এবং কিছু অনুসারী নিয়ে ভারতের এই বিখ্যাত নেতা শেষ জীবনে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে সেগাঁও নামে একটি গ্রামে চলে যান। পরে তিনি গ্রামটির নতুন নামকরণ করেন সেবাগ্রাম। যেখানে তিনি পরবর্তীতে তৈরি করেন একটি আশ্রম।
তার সঙ্গে আশ্রমে যোগ দেন ২০ বছর বয়সী কানু গান্ধী, সম্পর্কে যিনি ছিলেন মহাত্মার নাতি।
কানু গান্ধীর ফটোগ্রাফির বেশ শখ ছিল। কিন্তু গান্ধী তাকে নিষেধ করেছিলেন ফটোগ্রাফি করতে। কারণ ক্যামেরা কেনার টাকা তাদের কাছে ছিল না। কিন্তু কানুর ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মানতে হয় গান্ধীকে। একজন ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করলে সেই সময়ে ১০০ রুপি দিয়ে একটি ক্যামেরা কেনেন কানু। এর সাহায্যেই এই নেতার শেষ জীবনের ছবিগুলো তোলেন তিনি। প্রায় ২০০০ এর বেশি ছবি তুলেছিলেন কানু সেই ক্যামেরা দিয়ে।
সম্প্রতি কানু গান্ধীর তোলা এই নেতার বেশ কিছু দুর্লভ ছবি প্রকাশ করেছে দিল্লি ভিত্তিক অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান ‘নজর ফাউন্ডেশন’। ভারতের দু’জন বিখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী প্রশান্ত পনিজার এবং দিনেশ খান্না এই আয়োজন করেন।
মহাত্মা গান্ধীর এই ছবিতে তাকে টেলিফোনে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের শিবগ্রামে নিজ গ্রামের অফিস থেকে তিনি ফোনটি করেছিলেন ১৯৩৮ সালে।
মোম্বাই বির্লা হাউজে ১৯৪৫ সালের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে মহাত্মা গান্ধীকে ওজনে মাপছেন।
এখানে গান্ধীকে তার নিজ সেবাগ্রামে নিজ কার্যালয়ের সামনে দেখা যাচ্ছে। ১৯৪০ সালের এই ছবিটিতে গরম থেকে রক্ষা পেতে তার মাথায় বালিশ দেখা যাচ্ছে।
গান্ধী ভ্রমণ করছেন তার নেতাদের সঙ্গে। ছবিটিতে যারা গাড়ি ধাক্কা দিচ্ছেন তারা সবাই পাঠান এবং কংগ্রেস কর্মী। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ১৯৩৮ সালে ছবিটি তোলা হয়।
গান্ধী এবং তার স্ত্রী কাসতুরবা অ্যাবোটাবাদে ১৯৩৮ সালে।
এই ছবিতে গান্ধীকে সেবা করতে দেখা যাচ্ছে তার আত্মীয় এবং বড় বোন রালিতবেনকে। গুজরাটের রাজকোটে ১৯৩৯ সালে তিন দিনের অনশন কর্মসূচি পালনকালে তার আত্মীয়রা তাকে এই সেবা দিচ্ছিলেন।
গান্ধী এবং তার স্ত্রী কাসতুরবাকে এক খৃষ্টান পরিবারের বিয়েতে ১৯৪০ সালে সেবাগ্রাম আশ্রমে।
গান্ধীর স্ত্রী কাসতুরবা মারা যাওয়ার কিছুদিন আগের ছবিটি ১৯৪৪ সালের। ছবিটি পুনে শহরের আগা খান প্যালেসে তোলা হয়েছিল।
স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক সুভাস চন্দ্র বসুর সঙ্গে ১৯৩৮ সালের ছবিতে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছে গান্ধীকে।
দুই কিংবদন্তি একই ফ্রেমে। ১৯৪০ সালে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এই কিংবদন্তি নেতাকে। ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে তোলা হয়েছিল।
বিশেষ কারণে তিন মাস রেল ভ্রমণ করতে করতে গান্ধী সাহায্যের জন্য টাকা তুলছেন। তিনি এই ভ্রমণটি করেছিলেন ১৯৪৫-৪৬ পর্যন্ত আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে।
মৃত স্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন গান্ধী। ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্ত্রী মারা যান। তার এক আত্মীয় অনুমতি পায় ছবিটি নেওয়ার। গান্ধী বেশ কয়েক ঘন্টা নীরবে থেকেছিলেন কাসতুরবা মারা যাওয়া সময়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন