মাঠে টাইগাররা ফুটবল নিয়ে
দীর্ঘ সময় সূর্যের দেখা না মিললে রোদের জন্য তৃষিত থাকে মন। রোদের জন্য তখন মনে জাগে রোমাঞ্চ ও কৌতূহল। আগের দুই দিনের টানা বৃষ্টির পর কাল কড়কড়ে রোদ উঠল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আকাশে। তাতে কী, দিনের খেলা যে তার আগেই বাতিল! তখনো মাঠে যাঁরা ছিলেন, সেই রোদের দিকে তাকিয়ে থাকলেন বিস্ময় নিয়ে। সঙ্গে কৌতূহল, এমন উজ্জ্বল রোদেলা বিকেলেও কেন হচ্ছে না খেলা? আম্পায়াররাই বা কেন অত তাড়াতাড়ি দিনের খেলা বাতিল করে ফিরে গেলেন হোটেলে!
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণের পর দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা বাতিল হয়ে যায়, ম্যাচ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দলও ফিরে যায় হোটেলে। অথচ এর ঘণ্টা দেড়েক পর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ঝলমল করে উঠল রোদে। মাঠ থেকে তুলে ফেলা হলো সব আচ্ছাদন। আবহাওয়ার এই রূপ দিনের বাকি সময়ে আর বদলায়নি। আসেনি বৃষ্টিও।
দিনের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বাকি থাকতে খেলা বাতিল করা নিয়ে প্রশ্নটা উঠছে এ কারণেই। নিয়ম অনুযায়ী দিন শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ৪টা ৩০ মিনিটের পর প্রয়োজনে আরও এক ঘণ্টা খেলা চালাতে পারেন আম্পায়াররা। চাইলে তাঁরা আরেকটু অপেক্ষা করে দেখতে পারতেন আবহাওয়ার মতিগতি। ঢাকা টেস্ট তখন হয়তো কাল বেলা ৩টার পর কিছু হলেও ক্রিকেট দেখতে পারত। আম্পায়ারদের ‘তাড়াহুড়ায়’ সেটা আর হলো না!
অতটা সময় হাতে রেখে খেলা বাতিলের কারণ খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল কয়েক রকম তথ্য। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘মাঠ পর্যবেক্ষণের সময় আচ্ছাদনের বাইরে থাকা অংশের মাটি নরম পেয়েছেন আম্পায়াররা। তাঁদের মনে হয়েছে দিনের বাকি সময়েও ওসব অংশ খেলা চালানোর উপযোগী হতো না। তা ছাড়া পরবর্তী সময়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাসও তাঁরা মাথায় রেখেছিলেন। আমাদের এমনই জানানো হয়েছে।’
তার মানে বৃষ্টির সময় পুরো মাঠ ঢাকা থাকলে কাল বিকেলে খেলা হতে পারত। পর্যাপ্ত আচ্ছাদন থাকার পরও সেটি কেন করা হলো না? আইসিসির আচরণবিধির কারণে এসব নিয়ে কথা বলা নিষেধ আম্পায়ারদের। আর বিসিবির আচরণবিধিতে মুখ বন্ধ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভারও। তবে বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয়বার মাঠ পর্যবেক্ষণের সময় আম্পায়ারদের নাকি কিউরেটর বলেছেন, আগে মাঠ বাঁচাতে হবে, তারপর খেলা।
টেস্টের প্রথম দিন সন্ধ্যা থেকে টানা প্রায় তিন দিন আচ্ছাদনের নিচে থাকায় মাঠের ঘাসের রং যে নষ্ট হয়ে গেছে, প্রেসবক্স থেকেও তা বোঝা যাচ্ছিল। সবুজ ঘাস হয়ে গেছে হলদেটে। অনেক জায়গার ঘাস মরেও গেছে। কাল বৃষ্টির সময় তাই শুধু আটটি উইকেট ও এর আশপাশ এবং রানআপের অংশ আচ্ছাদনে ঢাকা হয়। বাকি মাঠ রাখা হয় উন্মুক্ত। বৃষ্টির পানিতে সে কারণেই খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে মাঠের ওই সব এলাকা।
দীর্ঘ সময় আচ্ছাদনের নিচে থাকায় মাঠের অনেক জায়গা নাকি আর্দ্রও হয়ে উঠেছিল। এ অবস্থায় কিউরেটরের কাছে খেলার চেয়ে মাঠ বাঁচানোটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এমনকি আম্পায়ারদের গামিনি এও জানিয়ে দেন, বিকেলে বা রাতে আবার বৃষ্টি এলেও পুরো মাঠ ঢাকা হবে না। তার মানে কাল রাতে বা আজ সকালে বৃষ্টি হলে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই টেস্টের শেষ দিনেও। ওই পরিস্থিতিতে ম্যাচ বাতিল হয়ে যাবে আজ সকাল সকালই। ‘আগে মাঠ, তারপর খেলা’ তত্ত্বে আম্পায়াররাও নাকি একমত হয়েছেন গামিনির সঙ্গে। প্রায় অর্ধেক সময় বাকি থাকলেও সে কারণেই বাতিল হয়ে গেল চতুর্থ দিনের খেলা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন