মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ, ১৪ দিন পর ১৮ মিনিট বুকের দুধ খাওয়ালেন মা!
মাগুরায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটি জম্মের ১৪ দিন পর বুধবার দুপুরে মায়ের বুকের দুধ টেনে খেল। প্রায় ১৮ মিনিট বুকের দুধ খাওয়ালেন হতভাগ্য মা নাজমা বেগম। বুকের মানিককে দুধ খাওয়াতে পেরে আনন্দে কাঁদছিলেন তিনি। কম ওজনে জন্ম নেয়া এ শিশুর শরীরের বুলেট ভেদ করা ৪টি ক্ষতস্থানে মোট ২১টি সেলাই করা হয়। ক্ষতস্থানগুলোতে ব্যান্ডেজ করা ছিল। ওই অবস্থায় শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে রাখেন মা। শিশু বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, এখন থেকে তাকে প্রতিদিন একবার করে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হবে। আবেগে আপ্লুত মা নাজমা জানালেন, এ আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না।
এদিকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেছেন, গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তদন্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে। শিশুটির উন্নত চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডপ্রধান ও এনআইসিইউ-নবজাতক ওয়ার্ড নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বুধবার দুপুরে জানান, ৭ দিন ধরে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার মাকে আইসিইউতে এনে শিশুটিকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। আজ শিশুটির মাকে আইসিইউতে এনে তার বুকের দুধ সরাসরি খাওয়ানো হল শিশুটিকে। প্রায় ১৮ মিনিট ধরে মা নাজমা বেগম শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ান। সন্তান ও মা অসুস্থ থাকায় সংশ্লিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞরা তাদের পাশেই ছিলেন। তিনি বলেন, এ সময় মা আনন্দ ও খুশিতে কাঁদছিলেন। নাজমা বেগম উপস্থিত চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, শিশুটি জন্মের পর তিনি দেখতে পারেননি, অজ্ঞান ছিলেন। ঢাকায় আসার পর সোমবার সন্তানের পাশে দাঁড়ালেও একটিবারের জন্য স্পর্শ করতে পারেননি। এখন বুকে জড়িয়ে বুকের দুধ খাওয়াতে পেরে তিনি অনেক আনন্দিত।
প্রফেসর ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, এতদিন শিশুটি মুখ দিয়ে দুধ টানতে পারত না। বুধবার শিশুটিকে বেশ সুস্থ দেখাচ্ছিল। জিহ্বা ও ঠোঁট নাড়াচ্ছিল। মা ও মেয়ের শারীরিক অবস্থা এতদিন উন্নত না হওয়ায় শিশুটিকে সরাসরি বুকের দুধ খেতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, শিশুটি এখনও পুরোপরি সুস্থ নয়, এ জন্য শিশুটিকে এখনও শংকামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে ৯ ধরনের সমস্যা রয়েছে। ১০ সদস্যবিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক দল শিশুটির চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন।
তার ক্ষতস্থানগুলো শুকাচ্ছে জানিয়ে প্রফেসর ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, শিশুটির ডান চোখটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। চোখের দৃষ্টি ঠিক থাকবে কিনা তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউ ও হাসপাতাল থেকে ডা. গোলাম হায়দার, ডা. ফরহাদ ও ডা. দ্বীপক কুমারসহ ৩ জন চক্ষুবিশেষজ্ঞ এসেছেন।
নাজমা বেগম বললেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন থেকে তিনি প্রতিদিনই তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে চান। শিশুটির বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া জানান, তার স্ত্রী-সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পর থেকে যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন আর ব্যথাও যন্ত্রণায় হা-হুঁতাশ করছেন না। তিনি তাদের সন্তানের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে আবারও দোয়া চান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন