রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মাত্র ছয় মাসেই ইতিহাস!

ইতিহাসের পৃষ্ঠায় অমরত্ব পেতে কত দিন লাগে? কত পাহাড় ডিঙোতে হয়? পাড়ি দিতে হয় কত অযুত-নিযুত ক্রোশ? মহাসমুদ্র?

জিনেদিন জিদান বলবেন, ‘এত কিছু করতে হয় নাকি! আমার তো মাত্র ছয় মাস লেগেছিল!’

পেশাদার কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর প্রথম মৌসুমটা সবচেয়ে সাফল্যবিধৌত ছিল পেপ গার্দিওলার। কিন্তু তাঁরও তো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে এক বছর লেগেছে। আর জিদানের লাগল মাত্র ছয় মাস।

গত জানুয়ারিতে রিয়ালের টালমাটাল সময়ে হাল ধরলেন জিদান। মে মাস পুরোতে না–পুরোতেই ইতিহাসের পাতায়। খেলোয়াড় হিসেবে আগেই জিতেছেন। এবার কোচ হিসেবেও জিতলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ।

ফুটবল কোচকেন্দ্রিক খেলা হলেও তারকাদের ভিড়ে কোচ আড়ালেই থাকেন। কিন্তু নামটা জিদান বলেই তাঁর দ্যুতিতে রিয়ালের মহাতারকা খেলোয়াড়রাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। জিদান মানেই যে জাদু!

এখনো স্যুট-সুবেশী কোচের চেয়ে হাফপ্যান্ট আর জার্সিতেই হয়তো বেশি মানাবে তাঁকে। যেন এখনো মাঠে নামিয়ে দিলে সেই দুর্দান্ত কর্নারগুলো উড়ে আসবে পা থেকে, কিংবা সেই ফ্রি কিক। এবার তো দুবার প্যান্টই ছিঁড়ে ফেললেন অনভ্যস্ত ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে থেকে।

কিন্তু মাঠে পায়ে না খেললেও জিজু এবার খেলেছেন মাথায়-মস্তিষ্কে। অশান্ত মাদ্রিদ-ক্যাম্পে স্থিতি এনেছেন। আস্থা এনেছেন। আত্মবিশ্বাস এনেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, দলের হৃৎপিণ্ড রোনালদোর সঙ্গে তাঁরই যেন সবচেয়ে ভালো এক জুটি গড়ে উঠেছে। মাঠে না থেকেও যেন দুজন মিলেই খেলেছেন। আর জিদান এর সবই করলেন মাত্র ছয় মাসে।

আর তাতেই ইতিহাস। কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর মাত্র ছয় মাসের মাথায় আর কেউ কি ইউরোপ–সেরার মুকুট পরেছে? জিদানের নাম লেখা হলো আগের সেই ছয়জনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও, খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ট্রফি জেতার কীর্তি ছিল যাঁদের।

সেখানে ক্রুইফ, আনচেলত্তি, রাইকার্ড, গার্দিওলারা আছেন। এর সঙ্গে বিশ্বকাপ-কীর্তি মাথায় রাখলে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়টির নাম তো জিনেদিন জিদানই!

রিয়ালের সর্বশেষ তিনটি ইউরোপ–সেরা ট্রফির সঙ্গেই জড়িয়ে থাকল তাঁর নাম। ২০০২ সালের ফাইনালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে তাঁর সেই ভলি; টানা এক যুগের খরা শেষে আনচেলত্তির সহকারী হিসেবে ২০১৪ সালে আবার এই ট্রফি; এবার মূল কোচ হিসেবেই।

গার্দিওলার মতো প্রথম দফাতেই বৈপ্লবিক কোনো আবিষ্কার নিয়ে হাজির হননি ঠিকই। কিন্তু রিয়ালের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, আনচেলত্তি আর বেনিতেজের কৌশলের একটা ভারসাম্যপূর্ণ মিশ্রণ গড়ে তিনি এনে দিয়েছেন নতুন ব্লেন্ড, নতুন ব্র্যান্ডও। জিদান-ব্র্যান্ড!

ফুটবলের এত সব তত্ত্ব কথারও দরকার নেই। শুধু সেই সময়টার কথা ভাবুন। বার্সেলোনা যখন ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে লিগে, স্প্যানিশ কাপ থেকে কী এক ছেলেমানুষী ভুলে ছিটকে পড়ল রিয়াল, চ্যাম্পিয়নস লিগটাই একমাত্র ভরসা। কিন্তু ততটা ভরসাও কি? সেই সময়ে একেবারে আনকোরা এক কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া মানুষটার কাছে রিয়াল–সমর্থকেরাই বা কতটা প্রত্যাশা করেছিল?

সেই তাঁরই হাতে কাল উঠল শুধু আকারে নয়, আক্ষরিক অর্থেই সব দিক দিয়ে বিশাল সেই ট্রফিটা।

জিদান আসলেই তো জাদুকর। না হলে মাত্র ছয় মাসে এত কিছু!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন

  • আজীবন সম্মাননা পেলেন টেন্ডুলকার
  • কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
  • টানা ৮ ম্যাচ জেতার পরও এলিমিনেটরে হেরে রংপুরের বিদায়
  • বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
  • নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
  • প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
  • নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে হামলার হুমকির পর এবার বয়কটের ডাক
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে থাকবেন তামিম!
  • খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির