মাত্র দেড় ঘণ্টায় যাওয়া যাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম !
ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে অনেক আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে চার লেন সড়ক। কিন্তু এতে দুর্ভোগ কমেনি। বিভিন্ন উৎসব, বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে এই পথে যানবাহনের চাপ বাড়ে। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। সে সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে আট থেকে ১০ ঘণ্টা লেগে যায়। অবশ্য অন্য সময় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পৌঁছা সম্ভব।
তবে এবার মাত্র দেড় ঘণ্টায় উড়ালসড়কে রাজধানী ঢাকা থেকে যাওয়া যাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, সেতু বিভাগের আওতায় এই উড়ালসড়ক বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন শিগগির বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে এ উড়ালসড়কের ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু এ সড়ক যানবাহন বৃদ্ধির চাপ চার থেকে পাঁচ বছরের বেশি নিতে পারবে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এই প্রেক্ষাপটেই ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে জোর দেওয়া হয়। প্রথম এ উদ্যোগ নেয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তখন পরিকল্পনা ছিল, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে (সওজ) এই এক্সপ্রেসওয়ের কিছু অংশ হবে এলিভেটেড বা মাটির ওপর এবং কিছু অংশ যাবে সমতল বা অ্যাট গ্রেড দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীকালে সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করলে তেমন ফলোদয় হবে না। এ ছাড়া উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার জন্য এটি সময়োপযোগীও নয়। এর পরই পুরো সড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সেতু বিভাগ থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের যুক্তি দেখিয়ে সম্প্রতি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। এতে এলিভেটেড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের অনুমতি চাওয়া হয়। পরে চলতি সপ্তাহে ওই নথিতে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে ঢাকা-চট্টগ্রাম উড়ালসড়ক নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডি এখনো হয়নি। বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। অন্যদিকে সওজের পক্ষ থেকে এক্সপ্রেসওয়ের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। তাই এখনো পর্যালোচনার বিষয় বাকি। আপাতত জোর দেওয়া হচ্ছে ফিজিবিলিটি স্টাডির ওপর।
সওজ জানায়, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। তা ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েটি যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সিংহভাগ পণ্য আনা-নেওয়া হবে এ রুট দিয়ে। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানের যানবাহনও এ রুটে যাতায়াত করতে পারবে। সমতল এবং উড়াল উভয় পথ মিলে মোট ২৩২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন