হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য ৫ বছরের শিশু দেবর ইসমাঈলকে গলাটিপে হত্যা করেছে পাষণ্ড ভাবী শাপলা বেগম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা ছিল পরকিয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। পরে ভাবী শাপলা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তার কাছে শিশু ইসমাইল ২০ টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় ভাবীকে গালমন্দ করে সে। পরে উত্তেজিত হয়ে ভাবী ইসমাইলকে গলাটিপে হত্যা করে লাশটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখে।

শাপলাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও জানান, প্রথমদিকে শাপলার ধারণা ছিল লাশ রাতের আধারে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেবে কিন্তু কোনও অবস্থায় লাশ গুম করার সুযোগ না থাকায় শাপলা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, আজ সকালে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শাপলা বেগম। ফলে শিশু ইসমাইল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

এদিকে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশু ইসমাইল হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা রজব আলী বাদী হয়ে শাপলাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, দুই দিন নিখোঁজের পর গতকাল সোমবার বিকালে জেলার মাধবপুর পৌর এলাকার রমিজ আলীর নিজঘর থেকে ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ইসমাঈলের ভাবী শাপলাকে আটক করে।