মাত্র ২৫ বছরেই ভারতের সংসদ সদস্য
লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাফল্য নজর কেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একক প্রভাব খর্ব করে দারুণ সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই জোট। সেই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে আলাদা করে নজর কেড়েছেন এ প্রজন্মের চার রাজনীতিক।
মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত ‘চার শ পার’ না করতে পারলেও এই নির্বাচনে বেশ চমক দেখিয়েছে রাহুলের কংগ্রেস, মমতার তৃণমূল কংগ্রেসসহ ছোট ছোট দলগুলো।
ভোটের লড়াইয়ে জিতে আসা এই চারজন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান থেকে জয় পেয়েছেন তারা। চারজনের একটি জায়গায় দারুণ মিল, সবারই বয়স ২৫ বছর।
এই ৪ জন হলেন—পুষ্পেন্দ্র সরোজ, সম্ভাবী চৌধুরী, প্রিয়া সরোজ এবং সঞ্জনা জাতভ।
পুষ্পেন্দ্র সরোজ সমাজবাদী পার্টির সদস্য। উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বি লোকসভা আসন থেকে ভোটের লড়াই নেমেছিলেন তিনি। শুরুতেই বাজিমাত করেছেন। ওই আসনে বিজেপির সংসদ সদস্য বিনোদ কুমার শঙ্করকে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন পুষ্পেন্দ্র।
যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন পুষ্পেন্দ্র। পরে দেশে ফিরে বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। এখন মাত্র ২৫ বছর বয়সে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।
সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সরোজের ছেলে পুষ্পেন্দ্র। ইন্দ্রজিৎ উত্তর প্রদেশের পাঁচবারের এমএলএ। প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টির আরেক তরুণ মুখ প্রিয়া সরোজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মছলিশহর আসন থেকে জিতেছেন তিনি। ৩৫ হাজার ৮৫০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সংসদ সদস্য ভোলানাথকে। প্রিয়ার বাবা তুফানি সরোজ তিনবারের সংসদ সদস্য।
সম্ভাবী চৌধুরী বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির সদস্য। রাজ্যের সমস্তিপুর আসন থেকে কংগ্রেসের সানি হাজারিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। সানি জনতা দলের (সংযুক্ত) মন্ত্রী মহেশ্বর হাজারির ছেলে। তাদের ভোটের ব্যবধান লাখের ওপরে।
সম্ভাবী চৌধুরীর বাবা অশোক চৌধুরীও রাজনীতিবিদ। অশোক চৌধুরী বিহারের নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দলে (সংযুক্ত) যোগ দিয়েছেন তিনি। সম্ভাবী চৌধুরীর দাদা মহাবীর চৌধুরীও একসময় কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
কংগ্রেসের সদস্য সঞ্জনা জাতভ। রাজস্থানের ভারতপুর আসন থেকে এবার জয় পেয়েছেন তিনি। ৫১ হাজার ৯৮৩ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির রামস্বরূপ কোলিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন সঞ্জনা। কিন্তু তখন জিততে পারেননি তিনি। বিজেপির প্রার্থী রমেশ খেদির কাছে মাত্র ৪০৯ ভোটে হেরেছিলেন তরুণ এই প্রার্থী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন