বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মাথা নত করে বাঁচার চেয়ে মরাই ভালো : নাজিম

পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে নিহত ‘ব্লগার’ ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী নাজিমুদ্দিন সামাদের বুকে লেখা ‘রাজাকার নিপাত যাক’। মাথায় লাল-সবুজের পতাকা। পেছনে একজন মাইক্রোফোনে স্লোগান দিচ্ছেন— এমন একটি ছবি এখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাজিমুদ্দিন (২৭) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে সূত্রাপুরের একরামপুরে তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। সামাদ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন।

নাজিমের বাড়ি সিলেটে। ফেসবুক পাতায় তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, গণজাগরণ আন্দোলনের সিলেটের সংগঠক হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন।

ফেসবুক বন্ধুরা লিখেছেন, হেঁটে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন নাজিম। হামলাকারীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে আক্রমণ করেছিল। এ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ডের মতো উগ্রবাদীরাই নাজিমকে হত্যার পেছনে জড়িত। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

নাজিমের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে তুমুল প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কেউ কেউ এ হত্যার বিচার চাইলেও বেশিরভাগ মানুষই বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া ও প্রশাসন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

গতবছরের অক্টোবরে লেখক-প্রকাশকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। জাগৃতি প্রকাশনীর সত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। শুদ্ধস্বরের সত্বাধিকারী আহমেদুর রশিদ টুটুলের ওপর আক্রমণ হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পরে আত্মরক্ষার্থে দেশের বাইরে চলে যান।

নাজিম হত্যার পর টুটুল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞের খাতায় আরেকটি নাম। নাজিমুদ্দিন সামাদ। বিচার হয় না জেনে গেছি তাই বিচার চাই না।’

নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘নাজিমউদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে জিহাদিরা। ২০১২ সালে আমাকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়ে ছিল, এখন দেখলাম। মেসেজের উত্তর দিতে পারিনি বলে খারাপ লাগছে। ভেবেছিলাম অনেক তো হল, এবার হয়তো জিহাদিরা মুক্তচিন্তক হত্যা বন্ধ করেছে। কিন্তু না। খুনের নেশা চেপেছে ওদের। আর ওরা তো জানেই, এদেশে মুক্তচিন্তক হত্যা করলে কোনও বিচার হয় না। বিচার না হলে শুধু আনসারুল্লাহ কেন, আরও অনেক উল্লাই চাপাতি হাতে নেবে।’

নাজিমের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, আজহারুল ইসলাম নামের একজন তাকে লিখেছেন, ‘তোমার জন্য ভয় হয় নাজিম। একটু সাবধানে থেকো। দেখতেই তো পাচ্ছো কী হচ্ছে। সাবধানে থেকো।’

এর উত্তরে আজহারুলকে ‘স্যার’ সম্বোধন করে নাজিম লিখেছিলেন, ‘ভয় আমার নিজেরও হয় স্যার। অকালে মরে যাওয়ার ভয়। কিন্তু কী করব স্যার। মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে এ মরাটাই বোধ হয় ভালো।’

নাজিমের ফেসবুক পাতায় লেখায় উগ্রবাদীদের সমালোচনা দেখা যায়। তিনি নিজের পরিচয়ে লিখেছেন, নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের অনুসারী নন তিনি। সাম্প্রতিক সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েও লিখেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই সমর্থক নিজের দলের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি।

গত ২ এপ্রিল এক পোস্টে নাজিম আওয়ামী ওলামা লীগ নিয়ে লেখেন, ‘আওয়ামী ওলামা লীগ আর বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দুই বিপরীত মেরুর দুই বাসিন্দা। ওলামা লীগ কখনোই বাহাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান চায়নি এবং চাইবে না।’

১ এপ্রিল নাজিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে লেখেন, ‘…দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষছেন! এই সাপগুলা একসময় আপনাকেই দংশন করবে এবং দংশন ও রক্তাক্ত করবে আমার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। এরকম আপাত জনপ্রিয়তা পাওয়া ও ভোটের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিহার করুন।’

বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘটনাস্থলে নাজিমউদ্দিনের মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এতে রাস্তা রক্তে সয়লাব হয়ে যায়। এ সময় রাস্তায় মগজ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ঘটনার পর সূত্রাপুর থানার পুলিশ নাজিমউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) নিয়ে গেলে সেখানকার মেঝে ও ট্রলিতে প্রচুর রক্ত দেখা যায়। সেই সঙ্গে নাজিমউদ্দিনের মাথার মগজ পুরোটাই বের হয়ে ট্রলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় দেখা যায়, তার মাথার খুলি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বীভৎস অবস্থা ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা বাংলামেইলকে বলেছেন, নাজিমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সোহেলকে খুঁজছে পুলিশ।

জানা যায়, সিলেটের কোনো দ্বন্দ্বে না কি অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পূর্ব) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
  • দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
  • মিরপুরে ঝগড়ার জেরে ‘সাততলা থেকে ফেলে’ যুবককে হত্যার অভিযোগ
  • ‘হলে থাকতেন-টিউশনি করতেন, এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন’
  • শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ইউনূস-মোদি
  • এসএসসি পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, যা বলছে শিক্ষা বোর্ড
  • মব-নারীবিদ্বেষ-তৌহিদি জনতা: দেশে চরমপন্থা বিকাশের সুযোগ সত্যি নাকি বিভ্রান্তি?
  • নাহিদ: আওয়ামী দুঃশাসনের ভুক্তভোগীদের কাছে ৫ আগস্ট অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা
  • দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
  • ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে আহ্বান জানালো সৌদি আরব
  • ৬ ডলারে নামছে না রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা, কমছে ৫০ সেন্ট
  • আরও একমাস বাড়লো পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ