ইয়াবা পাচারকারীসহ অন্যান্য মাদক অপরাধীরা গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসব অপরাধীদের কৌশল ধরা পড়লে পরবর্তীতে তারা নতুন কৌশল ব্যবহার করছে এবং মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হয়েছে, সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধন করে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে নতুন নিয়োগ-বিধি প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান, বলেন তিনি।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মন্ত্রী আরও বলেন, জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ডের অপারেশন আরও অর্থবহ করতে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য কোস্ট গার্ডের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র গোয়েন্দা অধিদপ্তর চালুর প্রস্তাবনা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।