বুধবার, অক্টোবর ২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মানুষের আয়ু বাড়বে ৪০ ভাগ!

আমরা কম-বেশি সবাই মৃত্যুকে ভয় করি।মৃত্যুকে জয় করার চেষ্টা সেই আদি যুগ থেকেই রয়েছে, এখনো চলেছে। মহাভারতেও অমরত্বের বর পাওয়া নিয়ে অনেক কথা রয়েছে।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অনেক আগেই লিখে গিয়েছেন, ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে…’।

তবে, অমরত্ব না হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণা মৃত্যুর দিন ক্ষণকে বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার আশ্বাসবাণী শুনিয়েছে। এবং জীবনকাল প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশাও দেখা দিয়েছে। কাজেই এখন যাঁর জীবনকাল ৮০ বছর, মলিকিউলার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে তিনিই বেঁচে থাকবেন ১১২ বছর। বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে আশাবাদী। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এমন এক গবেষণাপত্র প্রকাশ পাওয়ার পর দুনিয়া জুড়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে।

জীবদেহে নানা ঘটনাবলী নিয়ন্ত্রণ করে জিন। সে রকমই প্রায় ৪০ হাজার জিন নিয়ে কাজ কাজ চলছিল জুরিখের ইটিএইচ গবেষণাগার এবং জার্মানির জেনা সেন্টার ফর সিস্টেম বায়োলজি অব এজিং-এর জেন এজ কনসর্টিয়ামের উদ্যোগে।

এর মধ্যে কোন জিনগুলি বার্ধক্যের সঙ্গে জড়িত, তা নিয়েও চলছিল গবেষণা। মূলত নিমাটোড পর্বের সি এলিগ্যানস, জেব্রা ফিশ এবং ইঁদুরের জিনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়।

তাতে বিজ্ঞানীরা দেখেন, তিনটি প্রজাতিতেই ৩০টি জিন বার্ধক্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে রয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে ওই তিন প্রজাতির জীবনকাল বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়ানো গিয়েছে জীবনকাল।

আর মানুষের বেশি কাল বাঁচার সম্ভাবনাটাও এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। কেননা, মানবদেহেও রয়েছে ওই ৩০টি জিন। কাজেই, মলিকিউলার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে সেই জিনের কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে মানুষের জীবনকাল বাড়ানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

বিজ্ঞানীরা ওই তিন প্রাণীর দেহে জিনগুলির কার্যকারিতা আরও খতিয়ে দেখেছেন। সেই গবেষণার পর তাঁদের ধারণা, ওই ৩০টির মধ্যে একটি জিনই প্রাণীদের আয়ু নিয়ন্ত্রণ করে। বিক্যাট-১ (ব্র্যাঞ্চড চেন অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রান্সপারেজ-১) ওই জিনের এম-আরএনএ-কে প্রভাবিত করে নিমাটোডের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫ শতাংশ এবং ইঁদুরের ক্ষেত্রে প্রায় ৪০ শতাংশ আয়ু বেড়েছে।

মানুষের ক্ষেত্রে যদি বিক্যাট-১-এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে মানুষের আয়ু বেড়ে ১২০ বছর হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

মানবদেহে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে ন’টি। তার মধ্যে কয়েকটি মানবদেহ বিকাশের কাজ করে। বিক্যাট-১ ওই কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এ বার তার প্রভাব যদি কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে ওই অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারবে না।

ফলে দেহ বিকাশের কাজও ধীরে হবে। এবং বার্ধক্য থেকে শুরু করে মৃত্যু— সবই পিছিয়ে যেতে পারে। আপাতত বিজ্ঞানীদের অস্ত্র এই বিক্যাট-১। তাকে নিয়ন্ত্রণ করে আয়ু বাড়ানোর কাজে তাই ব্যস্ত রয়েছেন তাঁরা।

মানবদেহের উপর এখনও পরীক্ষা শুরু হয়নি। ভবিষ্যতে সে কাজ হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?