শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মারধর করে আ. লীগের সেই নেতাকে নামিয়ে দেওয়া হয়

রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, র‍্যাব সদস্যরা তাঁকে আটক করেননি। দুর্বৃত্তরা তাঁকে অপহরণ করে মারধরের পর মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। কোনো টাকা-পয়সা দাবি করেনি। অপহরণ করার কারণও জানায়নি।

গত বুধবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামকে তাঁর দোকান থেকে তুলে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে ওই দিনই রাত ১১টার দিকে পবা উপজেলার দারুসা এলাকায় তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি একাই বাসায় ফিরে আসেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁরা তাঁকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি একাই বাসায় ফিরে আসেন। খবর পেয়ে তাঁর বাসায় গিয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কামরুল থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।

কেন অভিযোগ করেননি জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, যারা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি তাদের কাউকেই চিনতে পারেননি। তাই এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেননি। এ বিষয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। পরে অভিযোগ করতেও পারেন।

কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে ছয়জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এর পরই কালো কাপড়ে তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। চলন্ত গাড়িতে তাঁকে মারপিটও করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে পবা উপজেলার দারুসা এলাকায় তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে অপহরণকারীরা তাঁর কাছে কোনো টাকা-পয়সা দাবি করেনি। তাই কী কারণে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

কামরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ওই কলোনিতে তাঁর একটি ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা করেই তিনি সংসার চালান।

তবে বুধবার কামরুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেছিলেন, ‘কামরুলকে র‌্যাব আটক করে নিয়ে গেছে। র‌্যাব তাকে আটকের বিষয়টি আমার কাছে স্বীকার করেছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।’

ডাবলু সরকার বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি জেলা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। চুরির দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। চুরির কিছুক্ষণ আগে মোটরসাইকেল চোরদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হ্যান্ডসেক করেছিলেন। এ দৃশ্যও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এ কারণে সন্দেহজনকভাবে র‌্যাব সদস্যরা কামরুলকে ধরে নিয়ে গেছেন। একজন নেতার সঙ্গে অনেকেই হাত মেলাতে আসেন। তাই বলে তিনি চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়টি এমনও নয়। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা।’

তবে ঘটনার পরপর র‌্যাব-৫-এর পক্ষ থেকে কামরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘর্ষের ঘটনায় রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা, গ্রেপ্তার ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেবিস্তারিত পড়ুন

স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০

বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন

  • বুধবারই নান্টু প্রথম তার কলেজ অধ্যক্ষ সাহেবের মুখ দেখেছেন
  • গোদাগাড়ী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলে
  • এবার রাজশাহীতে এবার রান্নাঘরে ১২৫ গোখরা
  • রাজশাহীতে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু
  • থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
  • রাজশাহীতে দেড় কেজি হেরোইনসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
  • রাজশাহীতে ২য় বিয়ে করলেন মডেল রাউধার বাবা
  • মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
  • রাজশাহীতে ছেলের মাথায় রক্ত দেখে বাবার মৃত্যু
  • রাজশাহীতে কালবৈশাখীর হানা, জনদুর্ভোগ
  • নিহত আ’লীগ নেতার সই জাল করে ১৩ লাখ টাকা তুললেন বড় ভাই!
  • শিক্ষা সফরে ছাত্রীর সঙ্গে ছবি : শিক্ষকের জরিমানা