মার্কিনিরা কখনও ভয়ের কাছে হার মানে না: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ১৫ বছর পর সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মার্কিনিরা কখনও ভয়ের কাছে হার মানে না। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ১৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে দেওয়া এক রেডিও ও অনলাইন বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাই তা গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমাদের বিভক্ত করবে, আমরা তাদের কাছে নতি স্বীকার করতে পারি না। সমাজের বন্ধন নষ্ট করে এমন কোনও উপায়ে আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি না।’
বারাক ওবামা বলেন, ‘আমাদের জনবৈচিত্র্য, সব প্রতিভাকে অভ্যর্থনা জানানো, জাতি-ধর্ম-বর্ণ- লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান ব্যবহারই আমাদের দেশকে মহান করেছে। এটি আমাদের সহনশীল করেছে।’
ওবামা বলেন, ‘আমরা যদি এসব মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল থাকি, তাহলে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের উত্তরাধিকারকে আমরা সমুন্নত রাখতে পারবো, আমাদের দেশকে করতে পারবো শক্তিশালী ও অবাধ মুক্ত।’
ওবামা এর আগে বেশ কয়েকবার রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। শনিবারের বক্তব্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তীর্যক ইঙ্গিত স্পষ্ট।
ওবামা ওয়ান-ইলেভেনের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ওসামা বিন লাদেনকে তার প্রাপ্য শাস্তি দিয়েছি এবং আমাদের দেশের নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। আমরা অনেক হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছি, জীবন বাঁচিয়েছি।’
ওবামা বোস্টন, সান বার্নাডিনো এবং ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে হামলার উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসী হুমকির ধরন পাল্টেছে। সুতরাং আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়া ও এর বাইরে আমরা আল-কায়েদা ও আইএস’র মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে সদা সজাগ থাকবো।’
ওবামা বলেন, ‘আমরা তাদের ধ্বংস করবো এবং আমরা আমাদের বাসভূমি সুরক্ষায় আমাদের ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন সবকিছু করা অব্যাহত রাখবো।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ১৫ বছর আগের ঠিক এই দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক যোগে চালানো হয়েছিল চার-চারটি আত্মঘাতী বিমান হামলা। হামলায় নিহত হন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। চারটি মার্কিন যাত্রিবাহী বিমান ছিনতাই করে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় ৯টার দিকে চালানো হয় এই হামলা। দুটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ারে আঘাত হানে। নিমেষে ধসে পড়ে ভবন দুটি। আরেকটি বিমান নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে চতুর্থ বিমানটি নিয়ে জঙ্গিরা পূর্ব নির্ধারিত স্থানে হামলা চালাতে চাইলেও যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পেনসিলভেনিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হয় সেই বিমান।
পরিকল্পিতভাবে চালানো নারকীয় এ ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞের জন্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদাকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-কায়েদার তখনকার নেতা ওসামা বিন লাদেনই ছিলেন হামলার রূপকার। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপন করে থাকা লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী ‘নেভি সিল’। সূত্র: আল-জাজিরা।
/এএ/
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন