মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে সুরাহা আসেনি, ধর্মঘট চলছে
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে সারা দেশে তৃতীয় দিনের মতো নৌ ধর্মঘট চলছে। সমস্যা সমাধানে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠকে কোনো সুরাহা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে শ্রম অধিদপ্তরের সভাকক্ষে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান। তবে প্রায় চার ঘণ্টার টানা বৈঠকেও একমত হতে পারেনি দুই পক্ষ।
এদিকে, ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ। খুলনার রুজভেল্ট ঘাট থেকেও পণ্য ওঠানামা করেনি। তবে চাঁদপুর থেকে কয়েকটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
ধর্মঘট থাকায় আশুগঞ্জ বন্দরে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ আটকা পড়েছে। নৌযান শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুনর্নির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে ২২ আগস্ট মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। এতে সমর্থন দিয়েছে ১৭টি নৌশ্রমিক সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কার্গো, কোস্টার, বার্জ, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযানে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক কাজ করে। ২২ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন তাঁরা।
তবে তেলবাহী ট্যাঙ্কার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোয় ট্যাঙ্কার এ ধর্মঘটের আতওয়ামুক্ত রয়েছে।
চাঁদপুরে কয়েকটি লঞ্চ চলেছে
চাঁদপুর থেকে প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান খান জানান, নৌযান শ্রমিকদের ডাকে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো চাঁদপুর থেকেও অধিকাংশ লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে কয়েকজন মালিক নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে চাঁদপুর-ঢাকা পথে কয়েকটি লঞ্চ ছাড়েন।
চাঁদপুর জেলা নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বিপ্লব সরকার জানান, নৌযান কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে চাঁদপুর থেকে দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ‘এমভি রফরফ’ লঞ্চটি ছেড়ে যায়।
এ ছাড়া সকাল থেকে চাঁদপুর অস্থায়ী লঞ্চঘাট থেকে আরো চার/পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার দিকে গেছে।
খুলনা-মোংলায় কাজ বন্ধ
খুলনা থেকে প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তৈয়ব জানান, নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে খুলনার সব ঘাটসহ রুজভেল্ট জেটি কার্যত স্থবির হয়ে আছে। নৌযান থেকে পণ্য ওঠানামা না করায় খুলনার ঘাট এলাকায় কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিক অলস সময় অতিবাহিত করছেন।
শ্রমিকরা জানান, মজুরি বৃদ্ধি করা না হলে কোনো অবস্থাতেই তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বিআইডব্লিউ ঘাট এলাকায় শ্রমিকরা ১৫ দফা দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন।
খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নৌযান শ্রমিকদের ১৫ দফা দাবি অযৌক্তিক। প্রথম থেকেই তাঁদের দাবি করা মজুরি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মোংলার প্রতিনিধি আবু হোসাইন সুমন জানান, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে আজ মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহন কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নৌযান শ্রমিকদের এই কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ওয়েজুল ইসলাম বুলবুল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন