মাশরাফি সহ ৫ ক্রিকেটারের মা-বাবার যে প্রত্যাশা ছিল !
তারা ১৫ ক্রিকেটযোদ্ধা । দেশ, জাতি ও পতাকার সন্মান বিশ্ব দরবারে উঁচু করার মিশন নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মঞ্চে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই ১৫ ক্রিকেটার। এবারের বিশ্বকাপে ভারতের দুনীতি কাছে হেরে যায় ক্রিকেটযোদ্ধারা। সঙ্গে ক্রিকেটযোদ্ধাদের বাবা-মাও ছিলেন, ক্রিকেটারদের কাছে তাদেরও ছিল গগণচুম্বি প্রত্যাশা।৫ ক্রিকেটারের বাবাদের প্রত্যাশা; ক্রিকেটারের পরিবার তাদের কাছে কি প্রত্যাশা করেছিলেন সেসব নিয়েই এই আয়োজন-
গোলাম মর্তুজা : দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বাবা গোলাম মর্তুজারে একটি কষ্ট ছিল। ঘরের মাঠে ২০১১ সালের মাশরাফির বিশ্বকাপ খেলতে না পারার বিষয়টি গোলাম মর্তুজাকে পীড়া দেয় এখনো। এই কষ্ট যে তার ছেলেও এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে তাও জানেন তিনি। এবারের আসরে তার ছেলেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ জন্য ভীষণ খুশি ছিলেন তিনি। বিসিবিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন গোলাম মর্তুজা। তার দৃষ্টিতে তার ছেলে অসাধারণ!কিত্নু ভারতের দুনীতি কাছে
গোলাম মর্তুজার সেই আসা সপ্ন সব শেষ হয়ে যায় !
দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেছেন, ‘বারবার ইনজুরি আক্রান্ত হয়েও দলের জন্য খেলে যাওয়ার চেষ্টা ছিল তার । তার চোখে এক্টাই সপ্ন ছিল অর্জন।’
নার্গিস আক্তার : মা নার্গিস আক্তারের অক্লান্ত পরিশ্রমে ছেলে আরাফাত সানি আজ তারকা ক্রিকেটার। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বিশ্বকাপ দলে খেলার। নার্গিস আক্তার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় যারপরনাই খুশি তিনি। আরাফাত সানিকে তিনি দীপু রায় চৌধুরীর ক্রিকেট কোচিং স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই ক্রিকেটে যাত্রা শুরু সানির। এক সময় হতাশও হয়ে পড়েছিলেন তার মা। শেষ অবদি তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ছেলে শুধু জাতীয় দল নয়; খেলার সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপ দলেও। ছেলের কাছে প্রত্যাশার প্রশ্নে তিনি জানিয়েছেন, ‘ছেলের কাছে অনেক প্রত্যাশা করি। দলের সবাই মিলে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। ছেলে নিজে পারফর্ম করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখবে। তার পরিবারে একটাই সপ্ন ছিল তার ছেলে এবং ১৫ ক্রিকেটযোদ্ধা বাংলার জয় নিয়ে আসবে কিন্তু তা হতে দিলনা ভারতীয় দুনীতি ।
কিশোরী মোহন সরকার : জাতীয় দলে সদ্য ডাক পাওয়া ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। তার বাবার নাম কিশোরী মোহন সরকার। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সৌম্য তৃতীয়। বিশ্বকাপ ঘিরে ছেলের কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন সৌম্যের বাবা, ‘ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। তারপরও প্রত্যাশা ছিল অনেক। দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসবে তার ছেলে। তার ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সে দল জিতবে, সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তার সেই আসা সফল হয়েও হয়নি !
তার কারন একটাই “দুরনিতির” ভারতের সেই দুনীতি কাছে হেরে যায় তার সপ্ন !
রবেজান বিবি : জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনের মা রবেজান বিবি। ছেলের কাছে তার প্রতাশা অনেক ছিল।
প্রতাশা প্রতাশা অনুযায়ী কাজ করেছলেন রুবেল ।
তার মায়ের একটাই সপ্ন ছিল তার ছলে বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে আনবে।
তার ছেলে দেশের জন্য ভাল কিছু করবে এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি। রবেজান বিনি বলেছেন, ‘রুবেল ভক্তদের ধন্যবাদ, তারা দুঃসময়ে আমার ছেলের পাশে ছিল।সবই ঠীক ছিল,শুধু ঠিক মিথ্যে হয়ে যায় তার ছেলে জয় ছিনিয়ে আনাটা ।তা সফল করতে দেয়নি ভারতের দুনীতি !
আব্দুর রশিদ : জাতীয় দলের পেস আক্রমনের নতুন সেনসেশন তাসকিন আহমেদের বাবা আব্দুর রশিদ। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করেই বাবার হাতে প্রচন্ড মার খেয়েও শেষ অবধি ক্রিকেটে মজেছেন তাসকিন। এবার এই ক্রিকেটে ঘিরেই ছেলের কাছে অনেক বড় প্রত্যাশা করেছিলেন আব্দুর রশিদের। তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। ভারতের বিপক্ষে আমার ছেলে যেমন বোলিং করেছিল এবারও তেমন বোলিং করবে, এমন প্রত্যাশাই করছি। সবচেয়ে বড় যে চাওয়াটা হলো-নিজেকে সে এমনভাবে প্রমাণ করবে যে বিশ্বকাপ মঞ্চে সবাই তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে চিনতে পারে। নিজে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স করে দলকে জেতাবে, দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অবশ্যই চাইব, তাসকিন যেন ম্যাচ সেরা হতে পারে। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যাতে টিম বাংলাদেশ হয়ে খেলতে পারে-সবার আগে এই প্রত্যাশাটাও করি।’
কিন্তু তার স্নপ ছিল জয় নিয়ে আসবে তার ছেলে ,কিন্তু তা হলনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন