বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?

চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে এইচএমপিভি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতে মানুষের মধ্যে শঙ্কা জেগেছে— বিশ্বে কি করোনাভাইরাসের মতো আবার একটি মহামারি দেখা দিতে যাচ্ছে?

৫ বছর আগে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যে মহামারিতে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যান। কোভিড-১৯ ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়িয়েছিল বলেই ধারণা করা হয়। এ অবস্থায় চীন থেকে আরেকটি ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

তবে জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি কোভিড–১৯–এর মতো কোনো ভাইরাস নয়। তাদের ধারণা, অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই বা তার বেশি মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করলে তা থেকেও ভাইরাসটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি সাধারণত আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে ছড়ায়। এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে। এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।

আর এজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, করোনাভাইরাসের মতো মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কি এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব?

সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগের চিকিৎসক সু লি ইয়াংয়ের কথায় অবশ্য তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। এইচএমপিভির সংক্রমণ এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়ে সু লি ইয়াং বলেছেন, সংক্রমণ এড়াতে জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরতে হবে, শ্বাসতন্ত্রের বড় কোনো জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে, হাত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে হবে।

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই ধরনের পদক্ষেপে এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে এক প্রতিবেনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এইচএমপিভি প্রতিরোধ ওই প্রতিবেদনে কিছু করণীয়ও তুলে ধরেছে বিবিসি। সেগুলো হলো-

  • বাইরে গেলেই মাস্ক পরা
  • ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া
  • হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা
  • আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলা
  • হাঁচি কাশি দেয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে নেওয়া এবং ব্যবহৃত টিস্যুটি সঙ্গে সঙ্গে মুখবন্ধ করা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হাত সাবান পানিতে ধুয়ে ফেলা
  • যদি টিস্যু না থাকে তাহলে কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি দেওয়া
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা
  • সর্দিকাশি, জ্বর হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভির কারণে শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশে মাঝারি ধরনের সংক্রমণ হয়। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণকে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ থেকে আলাদা করা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে সর্দি–কাশি ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচএমপিভিকে “শীতজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা” হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হলে সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ দেখা যায়; যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে লক্ষণ তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি হতে পারে।

ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মারা যাওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১% এর মৃত্যুর জন্য দায়ী এইচএমপিভি।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা বা ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ আক্রান্তরা, সেইসঙ্গে সিওপিডি, অ্যাজমা ও পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগীদের মাঝে সংক্রমণের লক্ষণগুলো গুরুতর আকারে দেখা দিতে পারে। এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই জটিল রোগের আক্রান্তদের এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না।

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাস প্রতিরোধে কয়েকটি টিকা তৈরি করা হলেও এইচএমপিভি প্রতিরোধ এখনও সে ধরনের কোনো টিকা নেই। তাই সতর্ক থাকার ওপরেই জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত
  • ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে