‘মাহবুব তালুকদারের নামটা বিএনপিই দিয়েছিল’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে যখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছিল, মাহবুব তালুকদারের নামটা বিএনপিই দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী পরিচালক জেমস গুলশেনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এর আগে সকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে কমিশন সভা চলাকালে ইভিএমের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বৈঠক থেকে বের হয়ে যান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে কখনো কখনো তারা একসঙ্গে বসে অনেক বিষয়েই দ্বিমত করতে পারেন। এটা যে শেষ, তা নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠক বয়কট করেছেন। আমরা যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলাম, সেখানে বিভিন্ন দল নাম দিয়েছিল। মাহবুব তালুকদারের নামটি বিএনপি থেকেই এসেছিল।’
তিনি বলেন, ‘এরপরও নির্বাচন কমিশনে কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ— আমরা সেটি বিবেচনা করি না। আমরা মনে করি তারা সবাই নিরপেক্ষ। দক্ষতার ভিত্তিতে এখানে নিযুক্ত হয়েছেন।’
ইভিএম প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সভা থেকে বেরিয়ে গেছেন, ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দিয়েছেন। তার সঙ্গে কমিশনার কবিতা খানমও বৈঠক বর্জন করেন— এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি (ইভিএম) নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, আমার নয়। ইভিএম পৃথিবীর সব দেশে আছে। আমেরিকার নির্বাচনেও এটির ব্যবহার হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ১০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার কথা বলেছে। এটা তাদের এখতিয়ার। সিলেট এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে। কোনো জায়গায় বিএনপি জিতেছে, কোনো জায়গায় আওয়ামী লীগ।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের দিন থেকেই বিএনপি ও তার জোট এদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ‘কে কোথায় গিয়ে মিটিং করছে, তা নিয়ে আমরা ভাবছি না, আমরা সব সময় বাংলাদেশ নিয়ে ভাবি। গণতান্ত্রিকভাবে ঐক্য করতেই পারে। কিন্তু, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র যদি কেউ করে, সরকার নীরব থাকবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও নীরব ভূমিকা পালন করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে অনেক কিছু করারই চেষ্টা হবে। কোনো কিছুই সফল হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন সঠিকভাবেই হবে।’
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কে না জানে হাওয়া ভবনে বসে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া জানতেন, তারেক জিয়া জানতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরও জানতেন। এটার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। হয়তো আগামী মাসের মধ্যে রায় হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসবই ষড়যন্ত্র। কিন্তু, ষড়যন্ত্রকারীরা টিকে না। এখনো যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকে, এটা কখনো সফল হবে না। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবেই।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন