‘মায়ের জন্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে যাচ্ছি’
ঈদের আগে মায়ের জন্য ভাইয়ের লাশ নিচ্ছি’—এ কথা বলতে বলতে অঝোরে কাঁদছিলেন নিহত পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল করিমের ভাই শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে শামস বলছিলেন, ‘এটা ফেয়ার হলো না, ভাইয়া। ফেয়ার হলো না। ঈদের আগে আমি আমার মায়ের জন্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে যাচ্ছি।’
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল গতকাল শুক্রবার গুলশানের রেস্তোরাঁয় সশস্ত্র হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর শরীরে বুলেট ও স্প্লিন্টার দুই-ই পাওয়া গেছে।
শামস জানালেন, তাঁরা দুই ভাই। রবিউল বড় ছিলেন। বাবা উন্নয়নকর্মী ছিলেন। নয় বছর আগে তাঁদের বাবা মারা গেছেন। বাবার দেখানো স্বপ্ন পূরণ করতে রবিউল মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে ব্লুমস নামে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন। ২৪ রোজায় তাদের নতুন কাপড় দিতে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে ইফতার করে ঢাকায় ফেরেন। আজ আবার যাওয়ার কথা ছিল। আজ যাচ্ছেন, তবে জীবিত নয়; লাশ হয়ে।
রবিউলের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা জানিয়ে শামস বলেন, ভাবি ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গেই ছিলেন। সন্তান জন্মের সময় ঘনিয়ে আসায় শ্বশুরবাড়ি চলে যান। তাঁকে মৃত্যুসংবাদ দিতে না চাইলেও তিনি জেনে যান।
অঝোরে কাঁদতে থাকা শামস জানেন না মা করিমুন্নেসা, ভাবি উম্মে সালমা আর ভাইপো মো. সামিরকে কী বলে সান্ত্বনা দেবেন। জানালেন, মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে বাবার কবরের পাশে ভাইকে দাফন করা হবে।
মর্গের সামনে থাকা কাটিগ্রামের ছেলে অভি হাসান বলেন, ‘ছোটবেলায় রবিউল ভাইকে দেখিয়ে আব্বা-আম্মা বলত, ওর মতো হও।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন