মা-মেয়েকে ধর্ষণকারী সেই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আলোচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মা ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগ নেতা মো. সোহেল মৃধাকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনতার মোড় এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা থেকে বাউফল থানায় আনা হয়েছে। সোহেল নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। এ নিয়ে ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নূর আলম মল্লিক (৩৫) ও রাসেল কবিরাজ (৩০)। তারা পটুয়াখালী জেলা কারাগারে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন মা ও মেয়ে নদীতে ট্রলারে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রহিম মীর (৩৪), সহ-সভাপতি নূর আলম মল্লিক (৩৫), ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সোহেল মৃধাসহ (৩২) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১২ জুন অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়জনের নামে বাউফল থানায় মামলা হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে বাউফলের শৌলা এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে নিমদী লঞ্চঘাট এলাকায় বেড়াতে আসে। সেখানে পূর্বপরিচিত হারুন মৃধা নামের যুবলীগের এক কর্মী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিকেলে ট্রলারে তাদের তেঁতুলিয়া নদীতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে একটি চরের কাছে নিয়ে হারুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিম মীর ও নূর আলম মল্লিক এবং যুবলীগ নেতা সোহেল মৃধাসহ ছয় যুবক তাদের ধর্ষণ করেন। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে নূর আলম মল্লিককে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ নূর আলমকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যান।
৩ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এলাকা থেকে রাসেল কবিরাজ নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নূর আলম ও রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ইতোমধ্যে সোহেল ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূরবিস্তারিত পড়ুন
বরিশাল মহানগর বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছে বিদ্রোহীরা
বরিশাল মহানগর যুবদলের কমিটিতে স্থান না পাওয়াই বিএনপি অফিসে তালাবিস্তারিত পড়ুন
বরিশালে স্ত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, গরম রড দিয়ে শরীরে ছ্যাকা, ক্ষতস্থানে গুঁড়া মরিচ ও লবণ !
বরিশাল : জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিফাবাদ গ্রামে স্ত্রীকে শিকল দিয়েবিস্তারিত পড়ুন