‘মিজু আহমেদকে অভিনয় শেখাতে হয়নি’
মিজু আহমেদকে দেখে মনে হয়েছিল সে অভিনেতা। সে খলচরিত্রেও ভালো করবে, এটা আমার কাছে মনে হয়েছে। যে কারণে আমি তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসি, নিজের যোগ্যতায় মিজু নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। এখন তার মতো শিল্পী তৈরি হচ্ছে না।’ মিজু আহমেদকে নিয়ে এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম। তাঁর হাত ধরেই চলচ্চিত্রে পা রেখেছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা মিজু আহমেদ।
প্রথম দেখা হওয়া প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তখন হাতিরপুলে একটা বাসায় থাকি, ’৭৭ সালের ঘটনা। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করি শুনে মিজু আহমেদ আমার সঙ্গে দেখা করে কাজ চাইলেন। আমি তার আচরণ লক্ষ করে তাকে কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীতের ক্যাসেট দিলাম। তাকে বললাম, তুমি এই গানগুলো শোন, মন স্থির হবে। কাজের কথা পরে ভাবা যাবে। সেই থেকেই আমি তাকে চিনি।’
দেখা হওয়ার প্রথম বছরেই পরিচালক নজরুল ইসলামের ‘নদের চাঁদ’ ছবিতে মিজু আহমেদ খলচরিত্রে কাজ শুরু করেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এরপর সে নিজের যোগ্যতায় অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছিল সে খলচরিত্রে ভালো করবে। একটা সময় তাই প্রমাণ হলো।’
‘তবে মিজুকে কখনো হাতে ধরে অভিনয় শেখাতে হয়নি আমার। যদিও সে আমাকে ওস্তাদ মানত। কাজের বিষয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস ছিল। কোনটা কীভাবে করলে ভালো হবে, তা নিয়ে চিন্তা করত। কাজের প্রতি যে তাঁর ভালোবাসা ছিল, সেটা প্রমাণিত। কারণ মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত চলচ্চিত্রে কাজ করে গেছে সে।’ এভাবেই মিজু আহমেদের স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছিল নজরুল ইসলামের কথায়।
গত সোমবার মিজু আহমেদ মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার বিএফডিসিতে জানাজা শেষে পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তার শূন্যতা পূরণ হবে না। এখন যে শিল্পীরা কাজ করে, তাদের দেখে আফসোস হয়। নতুনরা টাকা আর খ্যাতির পেছনে দৌড়াতে গিয়ে কাজের মান নষ্ট করে ফেলছে। অথচ কাজই যে তাদের সম্মান এনে দেবে, সেটি তারা একবারও চিন্তা করে না।’
নতুন শিল্পীদের নিয়ে নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, নতুনদের চলচ্চিত্রের হাল ধরতে হবে। কারণ, একসময় সবাইকেই চলে যেতে হবে। তবে মিজু যেভাবে কাজ দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে, সেভাবে সব তারকাই নিজের জায়গা তৈরি করেছে। আমি সবাইকে বলব, আপনারা কাজের বিষয়ে সিরিয়াস হন, বাকি সব আপনার পেছনে দৌড়াবে।’
গত সোমবার রাত ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন মিজু আহমেদ। ট্রেন তেজগাঁও স্টেশনে যাওয়ার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাঁকে বিমানবন্দর স্টেশনে নামানোর পর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন