মিটারে চলছে না সিএনজি আটোরিকশা, বিপাকে যাত্রীরা
আবারো সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরা। কিছুতেই মিটারে যেতে রাজি হচ্ছে না অটোরিকশা চালকেরা। নতুন মিটার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কিছুদিন মিটার এবং তারপর মিটারের থেকে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি ভাড়া চাইলেও সম্প্রতি আবারো তারা ভাড়া ঠিক করে গাড়ি চালাচ্ছে! সিএনজি ভাড়া মিটার অনুসারে হওয়ার কথা থাকলেও কম দূরত্বের যে কোন স্থানে যাওয়ার জন্যও ২০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করছে তারা।
রামপুরা ব্রিজ থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত নতুন মিটার চার্জ অনুসারে সিএনজির ভাড়া আসে ৮৫ থেকে ১০০ টাকা। রাস্তা একেবারে ফাঁকা থাকলে আরো কম টাকায় চলে আসা যায়। অথচ রামপুরা ব্রিজের মোল্লা টাওয়ারের আশে পাশে দাড়িয়ে থাকা যে কোন সিএনজিকে কারওয়ান বাজারে আসতে বললে তারা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দাবি করে। কারওয়ান বাজার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে তারা ১৫০ টাকা চায়।
কারওয়ান বাজারে বেসরকারি এক গণমাধ্যমে কর্মরত সামি আল মেহেদী জানান, আমি বাসাবো কদমতলা থেকে নিয়মিত সিএনজি নিয়েই আসি। মিটারে নতুন ভাড়া সংযুক্ত হওয়ার পর তারা মিটারের থেকে কিছু বাড়িয়ে দিতে বলত। পরবর্তীতে তারা মিটারের থেকে সব সময় ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বলে। আর এখন কদমতলা থেকে ২৫০ টাকার কমে কোন সিএনজি আসতে চায় না। যখন মিটারের থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে আসতাম, তখনও ভাড়া হত ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এখন মিটারের থেকে ১০০ টাকার মত বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হচ্ছে। মিটারে যাওয়ার কথা বললে তারা আর কথাই বলতে চায় না।
একই কথা জানালেন উত্তরায় থাকা নুসরাত। তিনি জানান, উত্তরা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য সিএনজি ভাড়া করলে আমাকে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। মিটারে যাওয়ার ব্যাপারে কোন কথাই শুনতে চায় না তারা। অথচ উত্তরা থেকে জ্যাম ঠেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেও মিটারে ভাড়া ওঠে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। আবার কোনদিন জ্যামে কয়েক ঘণ্টা বসে থাকলে মিটারে যদি ঠিক করা ভাড়ার থেকে বেশি বিল ওঠে তাহলে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিতে বলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা বনশ্রী এলাকার সিএনজি চালক বনু বলেন, যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিতে আমাদেরও ভাল লাগে না। কিন্তু এখন গাড়ির জমা দেই আমি ৯০০ টাকা। আমার গাড়ি পুরাতন তাই কম দেই। নতুন গাড়ির জমা ১ হাজার থেকে এগারো’শ টাকা। তারপর অনেক গাড়ির কাগজ ঠিক না থাকায় রাস্তায় পুলিশ ধরলে টাকা-পয়সা দিয়ে ছাড়ায়া নিয়া আসতে হয়। রাস্তায়ও থাকে জ্যাম, তাই বেশি ট্রিপ নিতে পারিনা। মিটারে চললে দিন শেষে ১০০-২০০ টাকার বেশি থাকে না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে গাড়ি মালিকদের বক্তব্য জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গাড়ির মালিক বলেন, একটা সিএনজি যে দামে কেনা হয় তাতে মাসে ৩০ হাজার টাকার মত না ওঠাতে পারলে কোন লাভ থাকে না। সিএনজি গুলো বর্ষার সময় বেশ দ্রুত নষ্ট হয়। বারবার ঠিক করাতে খরচ চলে যায় অনেক। আবার এর বিভিন্ন যন্ত্রের দামও বেশি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হয়। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সময় জানান, মিটার বিহীন কেউ যাত্রী যেন না নেয় সে কারণেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কার্যত এই মিটারের ভাড়া বাড়ানোর পর বেড়ে গেছে সিএনজির আগের ভাড়ার পরিমাণ। মিটার অনুসারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো না গেলেও বিষয়টা দেখার যেন কেউ নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন