মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২২৬ জনে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটিতে ৬ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের সাহায্য দরকার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মিয়ানমারের জান্তাশাসিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ২২৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৭৭ জন।
চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে আঘাত হানে। এতে নিহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। দেশগুলোতে নদী উপচে সৃষ্ট বন্যায় অনেকগুলো শহর প্লাবিত হয়। শক্তিশালী বাতাস এবং ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ধান ও অন্যান্য শস্য নষ্ট হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, মিয়ানমারজুড়ে আনুমানিক ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ইউএনওসিএইচএ বলেছে, মিয়ানমারে জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি, আশ্রয় ও পোশাক প্রয়োজন। সড়ক, সেতুসহ সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ত্রাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গতকাল বলেছে, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে অশান্তি বিরাজ করছে। এখন দরিদ্র দেশটির বিশাল অংশজুড়ে সহিংসতা চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন