মির্জা ফখরুল: দেশে প্রথম সংস্কার এনেছিলেন জিয়াউর রহমান
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে প্রথম সংস্কার এনেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এনেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সব মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে “রাজবন্দীর জবানবন্দি” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বইটি মূলত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিকে উপজীব্য করে লেখা। বইটি সম্পাদনা করেছেন প্রয়াত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
ক্ষমতায় টিকে থাকার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব এ সময় বলেন, “হাসিনার পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানি নিজেদের পুরো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছি না, ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কী দুর্ভাগ্য, এখন যেটা শুরু হয়েছে, এটাকে আমি মনে করি সুস্থ ব্যাপার না, একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।”
তিনি বলেন, “আমরা যেন বিভেদের রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়ি। দেশ বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এখন যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো ঐক্য।”
সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু বিএনপি আগেই সংস্কার শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জিয়াউর রহমানই প্রথম সংস্কার বাস্তবায়ন করেছিলেন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এনেছিলেন তিনি।”
ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নির্বাচিত সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার ছাড়া আমরা কোনো সংস্কারকে বৈধতা দিতে পারব না।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে খালেদা জিয়া যে সম্মান পেয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশের বাইরে। আমি কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ইতিহাসের কী অমোঘ বিধান, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন এবং গেলেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিয়ে। তাকে পথে পথে লাখ লাখ মানুষ সি অফ করেছে ভালোবাসা থেকে। আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে সম্মানটা পেয়েছেন, কোথাও বাধা পেতে হয়নি আমাদের। আমরা যেখানেই বলেছি যে এটা আমাদের দরকার, সঙ্গে সঙ্গে করে দিয়েছে। ভিসা দিয়েছে। ম্যাডামকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা কোনো ভাড়া না নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন এবং খুব দ্রুত দিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই ব্রিটিশ সরকারকে। তারা যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন।”
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মহাসচিব বলেন, “৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর খালেদা জিয়া ৭ আগস্ট বলেছিলেন যে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া যাবে না। আমাদের এই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।”
সংস্কার নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমি জানি না, কিছু মানুষ একেবারেই যেন ডেসপারেট হয়ে গেছেন যে তারা দেশকে ভাগ করবেন আবার। জনগণকে বিভক্ত করবেন এবং বিভিন্ন রকম বিভক্তিমূলক কথা বলছেন, বিভিন্ন রকম উসকানি দিচ্ছেন। আপনারা দয়া করে এ পথে যাবেন না। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী যে যেখানে কাজ করছেন, সবাইকে অনুরোধ করব, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?
চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন
‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ কিছুটা সময় লাগতে পারে, ধৈর্য ধরার আহ্বান
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন বই পাবে
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবেবিস্তারিত পড়ুন