মিশা সওদাগর: আমি তো ভাবি ভিলেন মানে যে শুধু নেতিবাচক চরিত্রের অধিকারী হবে তা নয়
ঢাকাই চলচ্চিত্রে খল অভিনেতা হিসেবে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিশা সওদাগর। একেক ছবিতে একেকরকম উপস্থিতি তাকে দর্শকদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। বর্তমানে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে খল অভিনেতা হিসেবে একক রাজত্ব করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত অভিনয় করেছেন ১ হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্রে। কিন্তু জনপ্রিয় এ খলনায়কের প্রিয় খলনায়ক কারা? কিংবা কাদের অভিনয় দ্বারা তিনি নিজে অনুপ্রাণিত হতেন একটা সময়…।
এসব বিষয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে সম্প্রতি এফডিসিতে এক সন্ধ্যায় প্রিয়.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মিশা বলেন, ‘একটা সময় রাজীব (খলনায়ক) ভাই আর হুমায়ুন ফরীদি ভাইয়ের অভিনয় ব্যাপক ভালো লাগত। কিন্তু রাজীব ভাইয়ের বেশিরভাগ বিষয়ই (অভিনয়ের খুঁটিনাটি দিক) আমার ভালো লাগত। আমি তো ভাবি ভিলেন মানে যে শুধু নেতিবাচক চরিত্রের অধিকারী হবে তা নয়…লাভেবলও হবে। আগে একটা সময় সিনিয়রদের উপর ভিত্তি করে আগে গল্প লেখা হতো।
এরপর আমি একমাত্র ইয়াং মেইন ভিলেন (গল্পটা ভিলেন কেন্দ্রীকও হতে পারে) এই ট্রেন্ডটা চালু করলাম।’ মিশা সওদাগর নানান শ্রেণির দর্শকদের কথা ভেবেই প্রতিনিয়ত নিজেকে চরিত্রের দিক থেকে গড়ার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি নিজেও জানেন তাকে সব শ্রেণির দর্শকেরাই পছন্দ করেন! আর মিশার ভাষায় বলতে গেলে-‘আমি দর্শকদের রুচিবোধ নিয়ে পড়াশোনা করি। না হলে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্যারিয়ার ধরে রাখা অনেক কষ্টের। আমি আমার নিজেকেই নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আমি নিজেই তো একটা ফ্যাক্টরি। আমি কাউকে ফলো করি না। ’
এদিকে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনেক নেতিবাচক ঘটনারই সম্মুখীন হয়েছেন মিশা। কিন্তু সময় বদলে গিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমার স্ত্রী শিক্ষিকা। ছেলে স্কলাসটিকায় পড়ে। ওর (ছেলের) বন্ধু এবং শিক্ষকরা আমার কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য নাম লিখে আমার ছেলের কাছে তারা পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলে এসে বলে, ওরা তো এখন বাসায় আসতে পারবে না। তাই লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে। তারপর আমি যখন প্যারেন্টস মিটিংয়ে যাই, আমাকে দেখার জন্য শিক্ষকরা খুব এক্সসাইটেড থাকে। সেটা আমি বুঝতে পারি।’ তবে মিশা জানালেন মুদ্রার উল্টো পিঠেরও গল্প- একদিন উত্তরার দিকের একটি তেলের পাম্পে গাড়িতে তেল নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মিশা। সে সময় সে পাম্পের একজন কর্মচারি আরেকজন কর্মচারিকে তাকে দেখিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘দেখ গুন্ডা আইছে তেল ভরার লাইগা…।
‘ মিশা শুনেও না শোনার অভিনয় করেছেন। এরপর যখন তেল নিয়ে পেট্রোল পাম্প থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন – তাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন সে লোকটি। যখন বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন, গাড়ির গ্লাসটা তখনও উঠানো হয়নি। আর মিশাকে বললেন-মিশা ভাই-সালাম।’ ‘আর এখন তো সব ওপেন। আমার জীবন সম্পর্কে সবাই জানেন। আমার পথচলা, পড়াশোনা, ব্যক্তিজীবন…। আমার তো ত্রিশ বছরের ক্যারিয়ার। প্রথম দু-তিন বছর মানুষ আমাকে খারাপ মানুষ ভাবত। কিন্তু এখন প্রযুক্তির যুগ। সবাই সবার সম্পর্কে জানেন।’ এমনটা মন্তব্য করে মিশা বলেন,‘আমি আমার পুরো পরিবার নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখি।
বিশেষ করে আমি যে ছবিগুলোতে ভালো অভিনয় করার চেষ্টা করেছি সে ছবিগুলো আমার পুরো পরিবার দেখেন। আমি ভালো অভিনয় করলে আমার আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাই। আবার খারাপ করলেও সে ধরনের রিঅ্যাকশন পাই।’ এদিকে ব্যক্তিজীবন আর অভিনয় জীবন-এ দুই মিলে মিশা যে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন না-তা কিন্তু নয়…। তিনি বলেন, ‘দিনের শেষে আমি তো সাধারণ একজন মানুষ। একটা বিষয় কি, আমাদের এখানে একটি চরিত্রকে গুছিয়ে উঠার জন্য সময় দেওয়া হয় না। আগে থেকে চিত্রনাট্য দেওয়ারও ব্যবস্থা নাই।
শুটিং স্পটে গিয়ে চিত্রনাট্য পড়তে হয়। এটা বড় একটা কারণ!’ মিশা সওদাগর বর্তমানে মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় ‘নক্ষত্রের রাত’, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের প্রযোজনায় ‘বাপের দোয়া কি কম দামি’, শামীমুল ইসলাম শামীমের পরিচালনায় ‘চাঁদনী’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও’, ছটকু আহমেদের পরিচালনায় ‘দলিল’সহ আরও বেশ কিছু ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন