মিয়ানমারে ভূমিকম্পে শঙ্কা বেড়েছে বাংলাদেশের

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে ভারতের মনিপুরে ও গতকাল বুধবার মিয়ানমারে যে ভূমিকম্প হয়েছে, তা একই বেল্টে হয়েছে। এতে আগামীতে বাংলাদেশের পূর্ব দিকে আরো বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারের মাওলাইকে যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটা এতটা দুশ্চিন্তার কারণ হতো না, যদি জানুয়ারি মাসেই ভারতের মনিপুরের ভূমিকম্পটি না হতো। কেননা, এ দুটি ভূমিকম্পই হয়েছে একই বেল্ট থেকে, যা প্রমাণ করে বাংলাদেশের পূর্ব দিকে ভূমিকম্পের বেল্টটি কতটা শক্তি সঞ্চার করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘এর আগে অনেকেই মনে করতেন যে এই বেল্ট ততটা অ্যাকট্ভি নয়। যেহেতু পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হলো, সেহেতু মনে হচ্ছে এটি অ্যাকটিভ। আর আমাদের গবেষণায়ও আমরা দেখেছি যে এটির মাত্রা খুবই মারাত্মক। এখানে আমাদের হিসাবমতে সাড়ে আট থেকে নয় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
বুধবারের ভূমিকম্পে চট্টগ্রামে নয়টি ও ফেনীতে চারটি দালান হেলে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দালান নির্মাণের কাজে অবহেলা করা হয়। এটি হবে, তা তাঁদের অনুমানের মধ্যে ছিল। কিন্তু তাই বলে এতটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. তাহমীদ মালিক আল-হুসাইনী বলেন, ‘ফাউন্ডেশন সঠিকভাবে করা হলে এই রকম (বুধবারের কম্পন) ঝাঁকুনিতে কিছুই হওয়ার কথা নয়। তবে যে পরিস্থিতি, তাতে যদি আরো তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, তাহলে আরো অনেক ভবনের একই ধরনের সমস্যা হবে। আরো বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, মিয়ানমারের ওই ভূমিকম্প যদি মাটির কম গভীরে হতো, তাহলে হয়তো পয়লা বৈশাখের উৎসবে অংশ নেওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন