শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মিয়ানমার অস্বীকার রোহিঙ্গাদের দায় নিতে

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মানব পাচার ও অভিবাসী ইস্যুতে সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সম্মেলন গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান)-এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিবর্গ এ সম্মেলনে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তানাসাক পাতিমাপ্রাগোর্ন বলেন, “ব্যাপক সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীর আগমন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং জরুরি ভিত্তিতে ও সম্মিলিতভাবে এ সঙ্কটের সমাধান বের করা আবশ্যক।” মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রতি সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে তিনি বলেন, “মূল যে কারণসমূহ এ মানুষগুলোকে দেশত্যাগে বাধ্য করছে, সেগুলোও অবশ্যই সুরাহা করতে হবে।”
ভারত মহাসাগরে অবৈধ অভিবাসন সমস্যায় আক্রান্ত ১৭টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবর্গ এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সুইজারল্যান্ড সম্মেলনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের কর্মকর্তারাও এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
অবশ্য, বিবিসি’র সংবাদদাতারা বলছেন, এ সম্মেলনে অংশ নেয়া বহু প্রতিনিধি মন্ত্রী-পর্যায়ের নন। তারা বলছেন, আলোচনায় ফলপ্রসূ কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়া বা এমনকি মানব পাচার ও অভিবাসী সঙ্কট নিরসনে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারেও কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় তো সম্ভব হবে না।
মিয়ানমারের পাল্টাঘাত

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে শুরুতেই পাল্টা আঘাত করেছে মিয়ানমার। সবাই যখন এশিয়ার অভিবাসন সমস্যার জন্য মিয়ানমারের দিকে আঙুল তুলছে, তখন এ ব্যাপারে নিজেদের দোষ দিতে অপারগ দেশটি। গতকাল শুক্রবারের সম্মেলনে মায়ানমারের প্রতিনিধি দল জানায়, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ঠিক কতজন অভিবাসী এখনও সাগরে আটকে আছেন তা জানা যায়নি। জাতিসংঘ বলছে, এখনও ২ হাজার ৬০০ লোক সাগরে আটকে আছেন। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিটিন লিন বলেন, তার দেশ মানবপাচার রোধে সবার সঙ্গে কাজ করবে।
তবে এজন্য শুধুমাত্র মায়ানমারকে দোষ দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, দোষারোপ কোনো ফল বয়ে নিয়ে আসবে না। এটা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে বাধা দেবে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে নৌ-পথে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে। থাইল্যান্ডের গহীন অরণ্যে শত শত গণকবর পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিবাসন সমস্যা সমাধানে চাপ আসে। এরপর সাগরে ভাসমান হাজার হাজার অভিবাসীকে উদ্ধারে তৎপর হয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
এখনও অনেকে অথৈ সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।তবে যে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নিয়ে এতো আলোচনা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সম্মেলনে কোনো ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিতেইন লিন বলেন, আসিয়ান দেশগুলো আঞ্চলিক যেসব সমস্যা মোকাবিলা করছে তা নিয়েই সম্মেলনে আলোচনা হবে।
মানবপাচার উৎসাহিত হবে এই অজুহাতে অধিকাংশ দেশই অভিবাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে না। তবে চাপের মুখে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় প্রদানে সম্মত হয়েছে। থাইল্যান্ড শুধুমাত্র নৌযানগুলো ফিরিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মায়ানমারের অস্বীকার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিবাসী সমস্যার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। যদিও সেখানে বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার ব্যাংককে ১৭ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিবাসী সমস্যা নিয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে মায়ানমারের প্রতিনিধি দলের প্রধান টেইন লিন এ কথা জানান।
বৈঠকে লিন জানান, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে তার দেশ কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না। এমনকি এ বিষয় তাদের কেউ দোষ দিলে তা তারা স্বীকারও করবে না। সেখানে পুরো এশিয়া অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
এদিকে, সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মায়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসেইন বলেন, মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে এক দশমিক তিন মিলিয়ন রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আর এসব রোহিঙ্গা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তিনি যখন এ মন্তব্য করেন, তখন বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সমুদ্রে সাগরে ভাসছেন কয়েক হাজার অভিবাসী। এদের মধ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা ছাড়াও ভাগ্য পরিবর্তনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরাও আছেন।
প্রিন্স জায়েদ বলেন, রোহিঙ্গারা একশ বছর ধরে মায়ানমারে বসবাস করলেও তাদের মৌলিক অধিকার ও নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছে মায়ানমার।
এসব সমস্যার মূল কারণ উদঘাটন করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
ওই বৈঠকে অনেক দেশ ও বিশ্ব নেতারা মায়ানমারকে এ সমস্যার সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক পাতিমাপাগর্ন বলেন, এখানে কোনো রকম দোষারোপ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে মায়ানমারকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে আঞ্চলিক চুক্তির মধ্যে আনতে হবে।
বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর এক টেবিলে বসা জরুরি : জাতিসংঘ
মানব পাচার রোধে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এক টেবিলে বসার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবে এ মনোভাব ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডোজাররিক।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলটিতে সৃষ্ট অভিবাসীদের সমস্যার একটি আঞ্চলিক সমাধান প্রয়োজন। আমি মনে করি সমস্যার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দেশ, যাতায়াতের মাধ্যম ও গন্তব্য দেশগুলোকে এক টেবিলে বসে অচিরেই সমস্যার সমাধান করা জরুরি।
নিম্নে সংবাদ বিফ্রিংয়ের বাংলাদেশ অংশটুকু তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : ধন্যবাদ স্টিফান। মালয়েশিয়ার উত্তরের সীমান্তে মানবপাচারকারীদের ক্যাম্পে ১৩৯টি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর তার প্রতিটিতে ১টি করে লাশ রয়েছে। মালয়েশিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, কবরগুলো লাশের স্তুপ নয় আলাদা আলাদা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, লাশের স্তূপ হোক বা আলাদা আলাদা কবর হোক এ বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক ও হৃদয়বিদারক। জাতিসংঘের সহায়তায় আশিয়ানভুক্ত ১৭ টি দেশ নিয়ে শুক্রবার থাইল্যান্ডে একটি সভা আহ্বান করেছে আশিয়ান। কিন্তু বাংলাদেশ আশিয়ানের সদস্য না হলেও এআরএফ এর সদস্য। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি সম্মেলনে আমন্ত্রিত হচ্ছে?
মুখপাত্র : বিষয়টি একান্তই আশিয়ানের। কারণ এর আয়োজন তারাই করেছে। তবে এ অঞ্চলটিতে অভিবাসীদের যে সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটার একটা আঞ্চলিক সমাধান প্রয়োজন। আমি মনে করি সমস্যার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দেশ, যাতায়াতের মাধ্যম ও গন্তব্য দেশগুলোকে এক টেবিলে বসে এর সমাধান বের করা জরুরি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ
  • Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *