মিয়ানমার থেকে ফিরছে আরো ১০৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসী প্রত্যাশীদের মধ্যে ষষ্ঠ দফায় আরো ১০৩ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হচ্ছে সোমবার।
বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, সোমবার প্রাথমিকভাবে ৭৩ বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনার কথা থাকলেও রোববার রাত ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০৩ বাংলাদেশিকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার তার নেতৃত্বে বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে রওনা দেবেন।
সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের মধ্যে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে শনাক্ত হওয়া এ ১০৩ বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, ফেরত আনা ১০৩ বাংলাদেশিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাখা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ শেষে এদের হস্তান্তর করা হবে। এখানে আইওএম তাদের খাবার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।
এর আগে ৮ ও ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ ও ২৫ আগস্ট ৫ দফায় শনাক্ত হওয়া ৬২৬ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। গত ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীকে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করেছিল সে দেশের নৌবাহিনী।
এরপর বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করা তালিকা নিয়ে কাজ করে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই তালিকায় শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফেরত আনা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়া ষষ্ঠ বারের মতো ১০৩ জনকে সোমবার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীবিস্তারিত পড়ুন
হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হাইকোর্ট বিভাগে ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
জুলাই ও আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়বিস্তারিত পড়ুন