মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মীর কাসেমের কবর প্রস্তুত, পরিবার গ্রামে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীকে নিজ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে দাফন করা হবে। সেখানে এরই মধ্যে কবর প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ কারণে পুলিশ চালা গ্রামে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। সেখানে সাংবাদিকসহ কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, চালা গ্রামের মসজিদের পেছনে লেবুবাগানে মীর কাসেম আলীর কবর প্রস্তুত করা হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘিওর-হরিরামপুর সড়কের কলপা বাজারে পুলিশের ব্যারিকেড রয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই চালা গ্রামে যেতে হয়। পুলিশ সেখানেই সাংবাদিকসহ সবাইকে আটকে দিচ্ছে।

সেখানে সাংবাদিকরা অবস্থান কালেই রাত ১১টার দিকে পাঁচটি গাড়িতে করে মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যরা চালা গ্রামের দিকে যান। একটি সূত্র জানায়, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে দেখা শেষেই পরিবারের সদস্যরা চালা গ্রামের দিকে রওনা হন।

এর আগে আজ শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান জানিয়েছিলেন, ‘মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ ওই চালা গ্রামে দাফন করা হতে পারে। দাফনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ওই এলাকাসহ পুরো জেলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

এর আগে রাতে কাশিমপুর কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১০ মিনিট পর অর্থাৎ ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কাসেম আলীর দেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামানো হয়।

প্রশান্ত কুমার আরো জানান, এরপর সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মীর কাসেমের মরদেহ মানিকগঞ্জে নিজ গ্রামে পাঠানো হবে। মীর কাসেমের ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁর মরদেহ মানিকগঞ্জে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান জেল সুপার।

মীর কাসেম জামায়াত নেতাদের মধ্যে পঞ্চম, যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুললেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হরিরামপুর উপজেলার সুতালরি ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি গ্রামে বাড়ি ছিল মীর কাসেম আলীর বাবা মৃত তৈয়ব আলীর। অনেক আগেই পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ওই গ্রাম। মীর কাসেম আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তাঁর ডাক নাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকেই চট্টগ্রামে থাকতেন তাঁরা।

প্রায় ১৬ বছর আগে মীর কাসেম আলী হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মাঝে মাঝে ওই গ্রামে আসতেন। মসজিদে দলীয় লোকজন নিয়ে বসতেন। কিন্তু সেখানে কোনো বাড়িঘর করেননি। এলাকার কয়েকজন জানান, একসময় চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সেখানে আর আসেননি তিনি।

মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি, তাই যে কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে জামায়াতের এই নেতার মৃত্যুদণ্ড। আজ বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।

এ ছাড়া রায় কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। তবে এখন পর্যন্ত রায় কার্যকরের সময় সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রশাসন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ