মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি মেলেনি ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের

স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি মেলেনি ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গোপালডাঙ্গাগাছা গ্রামের মৃত সত্য চরন রায় এর ছেলে।

ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের বয়স এখন ৭০ বছর ছুঁই ছুঁই করছে। বয়সের ভারে এখন কানে কম শোনেন। দূর থেকে চোখেও অনেকটা ঝাপসা দেখেন। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের কিছু কিছু ঘটনা অকপটে বলতে পারছেন।

তিনি তার গলার ভাঙ্গা ভাঙ্গা কাঁপুনি কন্ঠে জানালেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা। যুদ্ধ করেছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের সাতক্ষীরার দেবহাটা অঞ্চলে। তিনি প্রথম ২৭ বছর বয়সে তার প্রথম ৩ বছরের কন্যা সন্তান লক্ষী রানী ও স্ত্রীকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন। তার সাথে ছিল তারই সমবয়সি একই উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের ফকির গোলদারের ছেলে নিরনঞ্জন গোলদার, কৈখালি গ্রামের ভেটু বাছাড়ের ছেলে কিরন বাছাড়, টিকারামপুরের হরিপদ মন্ডলের ছেলে রবিন মন্ডল। তারা প্রথম দেবহাটার বিপরীতে ইছামতি নদীর তীরে ভারতের টাকিতে দুই মাস ট্রেনিং করেছিলেন।

ধীরেন্দ্র নাথ রায়সহ তাদের সাথে তিনটি দলে ১২জন করে মোট ৩৬ জন অংশ নিয়েছিল সেই ট্রেনিংয়ে। সাতক্ষীরা বাদে অনেকের বাড়ী ছিল বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে। দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিনের অস্ত্র চালানোর ট্রেনিং করেন দেবহাটায়। সেখানে সেক্টর কমান্ডারের দ্বায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল। টাউনশ্রীপুর স্কুল ছিল তাদের ক্যাম্প। সেখান থেকে তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধ করেছিলেন খান সেনাদের সাথে। তার মধ্যে পুস্পকাটি ও চেকপোস্ট এলাকার যুদ্ধের বিষয়টি এখনও মনে আছে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের। মুক্তিযুদ্ধের পরে দেবহাটা ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধের সার্টিফিকেটও পেয়েছিলেন ধীরেন্দ্র নাথ রায়। তিনি আরও জানান মুক্তিযুদ্ধের পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দিন সাহেব এমএলে থাকা কালিন সময়ে তিনি পরপর ৪ বার ভাতা পেয়ে ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহসান খুন হবার পরে দেশ ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের উপরে অনেকটা চাপ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। সে সময় তালা উপজেরার এই মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায় মুক্তিযুদ্ধের সেই সার্টিফিকেটটি হারিয়ে ফেলেন তিনি।

পরে যোগাযোগের অভাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি তার। যে কারণে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এই অসহায় হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়। যিনি ৭১ সালে নিজের জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে তার নাম সহ তার সাথে অংশ নেওয়া একই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নিরনঞ্জন গোলদার, কিরন বাছাড় ও রবিন মন্ডলের নাম বাদ পড়ে গেছে।

কিন্তু বর্তমানে এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায় তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তরভুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই সংক্রান্ত কমিটির নিকট ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধন আবেদন ফরমে একটি দরখাস্ত করেন। ২১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় সরকারিভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করার কথা রয়েছে। সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের নাম যাতে মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় অন্তরভুক্তি হয় সে জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা