‘মুক্তিযুদ্ধে যৌনকর্মীদের অবদান, ফেঁসে আছে মান্নার ছবি’
চলচ্চিত্রকে সমাজের আয়না বলা হয়ে থাকে। কারণ, সমাজের নানা বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। সকল ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষ যেমন চলচ্চিত্রের বিষয় হয়ে উঠতে পারে, একইভাবে সবাই হতে পারে এর দর্শক। সমাজে উপেক্ষিত কোনো গোষ্ঠী বা শ্রেণির বিশেষ কোনো অবদান হতে পারে চলচ্চিত্রের বিষয়। এসব নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে। সবই ঠিক আছে। কিন্তু, সমস্যাটা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে যৌনকর্মীদের অবদান নিয়ে চলচ্চিত্র করায়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় জুড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এও সঠিক, চাষি, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি, কৃষক, ডাক্তার, রাজনীতিবিদসহ সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত জীবনবাজির ফসল আমাদের স্বাধীনতা। সেই যুদ্ধে সমাজ-উপেক্ষিত যৌনকর্মীরাও এ ভয়াবহতার বাইরে ছিল না।
তাদেরও ছিল সমান অংশগ্রহণ। এটিই ‘লীলামন্থন’ চলচ্চিত্রের বিষয়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্না, মৌসুমী, পপি, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
চিত্রনায়ক মান্না সিনেমাটি অসমাপ্ত রেখে গত আট বছর আগে না ফেরার দেশে চলে যান। মান্নার মৃত্যুর পর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে সিনেমাটি। মান্না সিনেমাটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছিলেন। বাকি ১০ শতাংশ কাজ পরিচালক ডামি চরিত্র ব্যবহার করে ২০১১ সালে এ সিনেমার কাজ শেষ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমাটিতে যৌনকর্মীদের কথা বলা হয়েছে। যে কারণে এ সিনেমা প্রদর্শনের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা। ইতোমধ্যে দুবার নিষেধের গণ্ডি পেরোতে হয়েছে পরিচালককে। তবু শেষরক্ষা হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন