মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই: গার্ডিয়ানকে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধের জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদকের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির। প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকাটির সম্পাদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ নিয়ে প্রকাশিত লেখাটির ব্যাপারে সরকারের মনোভাব তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন-নিবন্ধ প্রকাশকারী ব্রিটিশ পত্রিকাটির সম্পাদককে ‘প্রিয় সহকর্মী’ বলে সম্বোধন করেন সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশের এই গণমাধ্যমকর্মী।
তার এই চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কটুক্তির কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। চিঠিতে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে একে রসিকতার শামিল বলা হয়েছে। চিঠির একটি অংশের লেখা অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার ও বিদেশী হত্যার পেছনে আইএস বা অন্যকোনো জঙ্গি গোষ্ঠী নয় বরং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতই জড়িত।
চিঠিতে বাংলাদেশের জন্মে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অল্পকথায় তুলে ধরেছেন শহীদ পরিবারের সন্তান নাদিম কাদির। তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এই দলটিই মহান মুক্তিযুদ্ধের মশালবাহী দল।
দেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারের অগ্রগতিও উল্লেখ আছে চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে,ব্লগার ও বিদেশী হত্যায় জড়িতরা অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে এবং সরকার এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গত ৮ এপ্রিল দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার মতামত অংশে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তাকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিহাস বিকৃতি ছাড়াও নিবন্ধে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার ও বিদেশী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গও গুরুত্ব দেয়া হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন