‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি গ্ৰহনে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর সুযোগ রয়েছে’
মুক্ত বিনিয়োগ নীতি গ্ৰহনে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিদেশিদের মত প্রশ্নহীন বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে। অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র আরো সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও বীমা বিভাগ নিয়ে একটি নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করার আহবান জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় এ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ খসরুজ্জামান বলেন, একদিকে ব্যবসায়ীদের লাভের উপর পাঁচ শতাংশ কর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে ব্যাংকের সুদহার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে জিনিসপত্রের দামের উপর ওই করের প্রভাব পড়বে। তাই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে মুক্ত বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করে বিদেশিদের প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের মত প্রশ্নহীন বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক যুদ্ধ ছাড়াও অন্যান্য কারণের মধ্যে এদেশে সব চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মধ্য দিয়ে মুদ্রাবাজার সরবরাহ বাড়বে এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরও গতিশীল এবং সর্বত্র প্রাণচাঞ্চল্য আসবে। এলক্ষ্যে পৌছাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পুরানো ধ্যান ধারনা থেকে সরে এসে উদার নীতি অবলম্বন করতে হবে। রাজস্ব আহরনের পরিমান জাতীয় স্বার্থে অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু করদাতাদের নির্দিষ্ট উৎপাদিত পরিমান আয়ের উৎসের উপর কর আরোপের হার ৫% বৃদ্ধি করে তাদের ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বরং তাদেরকে উৎসাহিত করার পথ বোর্ডকে গ্রহণ করার সময় এসেছে। বোর্ড আসন্ন বাজেটকে বিনিয়োগ বান্ধব বাজেট হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। মুক্ত বিনিয়োগ বাজেট ঘোষনা করা আজ সময়ের দাবী। সেক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব বিপুল পরিমান বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন সংকট দেশের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, আবাসন, মৎস্য-প্রানী সম্পদ, আবাসন খাতসহ আমাদানী কৃত সকল কাঁচামাল ব্যবসায় জড়িত সকল ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা কর আরোপে এবং বিনা প্রশ্নে জাতীয় বোর্ড মেনে নিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিলে ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। সুতরাং আগামী বাজেটে বোর্ড “মুক্ত বিনিয়োগ” নীতি ঘোষনা করে বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতে পারে। ফলে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন সেক্টরে ক্রমশঃ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং মুদ্রা বাজারে গতিশীলতা বাড়বে। ফলে ডলার সংকটও ক্রমশঃ কমে আসবে। অপর দিকে, বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অফিস স্থাপন করে রাজস্ব আহরন করার এখনই উপযুক্ত সময়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন মুখী দেশের গ্রামে গঞ্জে ৩ লক্ষ টাকার বেশী বার্ষিক নিট আয় উপার্জন করার ব্যক্তি খুজে পাওয়া যাবে। তাদেরকেও অবিলম্বে আয় করের আওতায় এনে জাতীয় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আয়কর প্রদান করতে উৎসাহিত করতে হবে।
বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র আরো সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও বীমা বিভাগ নিয়ে একটি নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ব্যাংকিং খাতে শৃংঙ্খলা ফিরায়ে আনতে এবং অর্থ পাচার রোধ করতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বর্তমান প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট শাহ মোঃ খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মোঃ সগীর আনোয়ার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল জালাল চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট শাহেদ আলী জিন্নাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রেজাউল করিম, ফয়জুর রহমান চৌধুরী শাহীন ও আব্দুস সবুর দেওয়ান, নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মোশাররফ হোসেন সেতু ও এডভোকেট শেখ লোকমান হেকিম প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন