মুজিবকে জোর করে জাতির পিতা বানানো হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রাখেননি। কীভাবে যুদ্ধ হয়েছে তিনি তাও দেখেননি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যাদের ভূমিকা নেই তাদের জোর করে জাতির পিতা ও স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চান, তাহলে আপনার র্যাব-পুলিশ দিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করাতে পারেন, মানিকদের মতো বিচারকদের দিয়ে ইতিহাসের পাতা পাল্টে দিতে পারেন, কিন্তু মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে ইতিহাস রচিত আছে আপনি হুমকি দিয়ে, আদালতের নির্দেশ দিয়ে কখনও সেটা মুছে দিতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত চিকিৎসক সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু।
রিজভী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী মহাত্মা হবেন কি হবেন না তা নিয়ে তো ভারতে কোনো মামলা দেখি না। বিতর্ক হচ্ছে। স্বাধীনতার অমোঘ যে সত্য, স্বাধীনতার যে প্রকৃত ভূমিকা তাহলে বের হয়ে আসবে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসুর একধরনের ভূমিকা ছিল। কারণ নেতাজী চেয়েছিলেন সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে। আর জহরলাল নেহেরু চেয়েছিলেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত করতে। হয়তো তাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধী ছিল কিন্তু কেউ কাউকে অসম্মান করেননি।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নানা ঘটনা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের মেয়ের লেখা বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রধান যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার মেয়ে লেখেছেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর জন্য। আর তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিলেন এটা কি বিশ্বাসযোগ্য ঘটনা? আর ইথারে ইথারে প্রকম্পিত যে ক্ষীণ কণ্ঠ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে তাকে ইতিহাস থেকে বাদ দেয়ার জন্য মানিকদের মতো বিচারকদের নিয়োগ দিতে হয় সেটা জনগণ গ্রহণ করে না। কারণ মানুষ মিথ্যা গ্রহণ করে না।’
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। আর বেগম খালেদা জিয়া তো কোনো পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি। বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে তো বিভিন্ন সময় নানা পরিসংখ্যানও দিয়েছ্নে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন