মুঠোফোনের নম্বর না দেওয়ায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পেটাল বখাটেরা
মুঠোফোনের নম্বর না দেওয়ায় শরীয়তপুরের সদর উপজেলার বিনোদপুর পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের আট জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তুলাসার ইউনিয়নের দেওয়ান কান্দি গ্রামে হামলার শিকার হয় ওই শিক্ষার্থীরা। ওই গ্রামের শামীম দেওয়ান তাঁর পাঁচ সহযোগীকে নিয়ে এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা হলো জান্নাতুল ফেরদৌসী, রহিমা আক্তার, সুরমা আক্তার, মীম আক্তার, কাওসার মাহমুদ, জসিম, সজীব সরদার ও মাসুদ সরদার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসীর বাড়ি একই উপজেলার দড়িহালা গ্রামে। পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পথে শামীম দেওয়ান পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসীকে উত্ত্যক্ত করত।
আজ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেওয়ান কান্দি এলাকায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী ইজিবাইক থামায় শামীম ও তার সহযোগীরা। এরপর সে জান্নাতুলের কাছে মুঠোফোন নম্বর চায়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। তখন শামীম তার পাঁচ সহযোগীকে নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তারা বাঁশ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আট পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে জান্নাতুল ফেরদৌসী বলে, ‘পরীক্ষা দিতে আসার পথে শামীম আমাকে বিরক্ত করত। ইজিবাইক থামিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করত। ফোন নম্বর চাইত, আমাকে ফোন দিতে বলত। তার ভয়ে আমি পরীক্ষা শেষে অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরতাম। আজও সে একই কাজ করে। তখন আমার সহপাঠীরা প্রতিবাদ করে। এ সময় আমাদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে শামীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।’
বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর বখাটেদের হামলার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে আসি। শিক্ষার্থীরা ব্যথায় কাতরাচ্ছিল। দ্রুত তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমরা থানায় মামলা করব। বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের শরীরে লাঠির আঘাতের ফোলা ও জখম রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হতে দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন